পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, নারী সমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। নারীর সহযোগিতা ছাড়া দেশে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশে নারী উন্নয়নের ফলেই সকলক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে।
গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এলজিইডি ‘শ্রেষ্ঠ আত্মনির্ভরশীল নারী সম্মাননা পুরস্কার ২০২১’ আয়োজন করে। বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে অন্যান্য বছরের ন্যয় এবারও ৯ জন নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ আত্মনির্ভরশীল নারীকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা নারী উন্নয়নে, নারীর ক্ষমতা আনয়নে কাজ করেছেন। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে উন্নত করা সম্ভব। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষভাবে স্মরণ করেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে। মন্ত্রী বলেন, নারীকে ক্ষমতায়ন করতে এবং জেন্ডার বৈষম্য কমিয়ে আনতে একটি প্রকৌশল সংস্থা হয়েও এলজিইডি বিশাল ভ‚মিকা রেখে চলেছে গত একত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। অনগ্রসর নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে নারীর জন্য কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানবসম্পদে পরিণত করতে নারীদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নারী-পুরুষের বিভেদ দূর করতে পুরুষের সচেতনতা বাড়ানো, নারী নেতৃত্ব সৃষ্টি প্রভৃতি ক্ষেত্রে এলজিইডি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাজুল ইসলাম বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি, ডে-কেয়ার সেন্টার, নারীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান, পৃথক টয়লেট ইত্যাদি এলজিইডি’তে নারীবান্ধব সহায়ক কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠায় একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১-এর প্রাক্কালে কমনওয়েলথ মহাসচিব কোভিড মহামারি মোকাবেলায় অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের মধ্যে তিনজন নারী মন্ত্রীকে শীর্ষ অনুপ্রেরণাদায়ী নারী নেতা হিসেবে ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মধ্যে অন্যতম। এলজিইডি সড়ক, সেতু ও বিভিন্ন ধরনের ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণ করলেও দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সংস্থাটি সরাসরি অবদান রয়েছে। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জেন্ডার বৈষম্য কমিয়ে আনতে এলজিইডি গত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে। প্রান্তিক নারীর অবস্থা ও অবস্থান উন্নয়নে এলজিইডির ভ‚মিকাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান সভাপতির বক্তব্যে বিনম্রচিত্তে স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে নিহত ও নির্যাতিত নারীদের। তিনি বলেন, ২০২০ ও ২০২১ এ দুটো সাল আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ দু’বছরে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করছি। তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে এলজিইডির শ্রেষ্ঠ আত্মনির্ভরশীল নারীদের সম্মাননা দিয়ে আসছে। পল্লী, নগর ও পানিসম্পদ উন্নয়ন সেক্টরে আত্মনির্ভরশীল নারীদের মধ্যে যেসব নারী অনন্য সাফল্য অর্জন করেন, তাদেরই এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ৯ জন শ্রেষ্ঠ স্বাবলম্বী নারীকে এলজিইডি প্রদত্ত সম্মাননা পুরস্কার ও নগদ জনপ্রতি ১ম পুরস্কার ১৫ হাজার টাকা, ২য় পুরস্কার ১২ হাজার টাকা ও ৩য় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পুরস্কার প্রাপ্ত নারীরা হচ্ছেন, পল্লী উন্নয়ন সেক্টরে- আঁখি আক্তার, মোছা. ফরিদা বেগম ও তাছলিমা বেগম, নগর উন্নয়ন সেক্টরে- রাজিয়া খাতুন, লিপি চাকলাদার, মোসা. মুনিরা বেগম, পানিসম্পদ উন্নয়ন সেক্টরে- মোছা. জেসমিন আক্তার, মোছা. স্বপ্না আক্তার এবং রোজিনা আক্তার।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবা উদ্দিন, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও সভাপতি এলজিইডি জেন্ডার ও উন্নয়ন ফোরাম মো. আহসান হাবিব। প্রকল্প পরিচালক ও এলজিইডি জেন্ডার ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সচিব সালমা শহীদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।