পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফৌজদারি অপরাধে মামলাসহ একাধিক শাস্তি দেয়ার বিধান রেখে হজ ও ওমরাহ আইণের খসড়া তৈরি করে সরকার সংবিধান পরিপন্থি কাজ করছে। হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে জরিমানা ও শাস্তি আরোপিত হলে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মালিকরা আদালতের আশ্রয় নিতে পারবে না। নাগরিক অধিকারের পরিপন্থি এবং হজ এজেন্সিগুলোর স্বার্থবিরোধী হজ ও ওমরাহ আইনের খসড়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
অন্যথায় সকল হজ এজেন্সিগুলোকে নিয়ে হজ ও ওমরাহ আইনের খসড়া (কালো আইন) বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি শুরু করা হবে। সংবিধান বিরোধী এ খসড়া আইন বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেয়া হবে। রোববার রাতে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে হজ এজেন্সিদের আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় হাবের সাবেক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভায় নেতৃবৃন্দ হজ ও ওমরাহ আইনের কালো ধারাসমূহ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
হাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আটাবের সাবেক মহাসচিব আসলাম খান, হাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের, হাবের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো.রুহুল আমিন মিন্টু, আটাবের সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ, নাজিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট এম এ ওহাব, ক্বারী গোলাম মোস্তফা, ডি এম দেলোয়ার হোসেন, কাজী মোবারক হোসেন ফরাজী, মো. মাসুদ রানা, মাওলানা আবু তাহের, রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল কাদের।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৯ সালে ৩৩৭টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে জরিমানসহ তিরস্কার করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনাকে একটি সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেয়ার জন্যই হাব সদস্যদের স্বার্থবিরোধী ধারা সংযোজন করে হজ ও ওমরাহ আইনের খসড়া তৈরি করে ভ্যাটিং এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো.ফরিদুল হক খান এজেন্সিদের স্বার্থ বিরোধী হজ ও ওমরাহ আইনের খসড়া দেখেও হতবাক হয়েছেন। অ্যাডভোকেট এম এ ওহাব বলেন, হজ ও ওমরাহ আইনের খসড়ার কালো ধারাসমূহ বাতিল করতে হলে হাবের নির্বাচিত ও অনির্বাচিত গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় বিভাজনের আন্দোলন সফল হবে না। সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সোবহান ভূইয়া বলেন, হজ এজেন্সির স্বার্থবিরোধী হজ ও ওমরাহ আইনের খসড়া অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন হাবের সাবেক সভাপতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।