পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ইসলাম ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা বিষয়টি আবশ্যিক করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। তিনি বলেন, শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের ইসলাম, নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিলে সমাজিক অবক্ষয় দূরীভূতসহ সর্বস্তরের জনগণের মাঝে নীতি-নৈতিকতা ও পরস্পরের দৃঢ় ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি হবে। জঙ্গীবাদ, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাই, খুন-গুমসহ নানাবিধ অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে সমাজ মুক্ত থাকবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইসলামিক স্টার্ডিজ ফোরম নেতৃবৃন্দ। গত শনিবার দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্ববৃহৎ পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর সাথে ইসলামিক স্টার্ডিজ ফোরমের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়কালে এসব কথা বলা হয়।
মহাসচিব শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। বিশ্বের কেবল মুসলিম দেশগুলোই নয় বরং অসংখ্য অমুসলিম দেশ ইসলাম নিয়ে গবেষণায় লিপ্ত রয়েছেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবন-আদর্শ ও পবিত্র কুরআন নিয়ে রিসার্চ করতে গিয়ে অগণিত বিধর্মী ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়ে সুশৃঙ্খল জীবন ধারণের সুযোগ পেয়েছে। এসকল দৃষ্টান্ত থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ। যে দেশে ৯৫ শতাংশ মুসলমানের বসবাস, সে দেশে অনৈতিকতা, অরাজকতা, প্রতিহিংসা, পরশ্রিকাতরতা, মাদকের হিংস্র প্রভাব কেবল নিজেদেরকে ইসলামি শিক্ষা থেকে দূরে রাখার কারণেই সংগঠিত হচ্ছে। এসকল কিছু থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় ইসলামী শিক্ষা।
ইসলামিক স্টার্ডিজ ফোরম নেতৃবৃন্দের সাথে তিনি একমত পোষণ করে বলেন, দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক-প্রথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ইসলাম ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। ইসলামিক স্টার্ডিজ ফোরম নেতৃবৃন্দ এমন একটি দূরদর্শি ও জাতির কল্যাণমুখি বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্য আসায় জমিয়াত মহাসচিব তাঁদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চলমান মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের অন্যান্য খ্যাতসমূহের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরাও চরম বিপর্যয়েরমূখে নিপতিত হয়েছে। তাই আসন্ন বোর্ড পরীক্ষাসমূহে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সিলেবাস সংকোচিত করার বিষয়টি সময়োপযুগী এজন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তবে তারা দুঃখের সাথে বলেন, সিলেবাস সংক্ষেপ করতে গিয়ে ইসলাম শিক্ষা বিষয়টিকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়ার পরিকল্পনা চলছে, যা জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে আমরা মনে করি। পরীক্ষার সিলেবাস কমানোর ইস্যুতে ইসলাম শিক্ষা বাদ না দিয়ে অন্যান্য বিষয়ের মত সংক্ষিপ্ত আকারে বিষয়টি বহল রেখে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে আস্বস্ত রাখার ব্যাপারে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ড. শাহ্ মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, আ জ ম শাখাওয়াৎ হোসাইন, মো. নূরুল্লাহ, মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, মুহিব্বুল্লাহ জামী, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. রূহুল আমীন, আবু সায়িম মো. তোফাজ্জল হোসাইন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।