Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চিঠিপত্র : প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন

প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শুধু খবর ছাড়া কেন মানুষ দেশি চ্যানেল দেখে না? এর একমাত্র উত্তর হলো, মানসম্পন্ন অনুষ্ঠানের অভাব। মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান থাকলে বিদেশি চ্যানেলগুলো যতই বিনোদননির্ভর অনুষ্ঠান প্রচার করুক না কেন মানুষের আকর্ষণ দেশি চ্যানেলের প্রতিই থাকবে। আমাদের নিজস্ব কোনো খেলার চ্যানেল নেই। খেলা দেখতে হলে আমাদের বিদেশি চ্যানেলের দিকে ঝুঁকতে হয়। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ নামে একটা রিয়েলিটি শো হয়েছিলÑ যা অবশ্যই একটা শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, বিনোদনও বটে। মানুষ কি তখন আগ্রহ দেখায়নি? দেশি চ্যানেলগুলোতে অনুষ্ঠানের মান বাড়ুক, শিক্ষামূলক বিনোদননির্ভর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হোক, দেখা যাবে এমনিতেই মানুষ দেশি চ্যানেলগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সাঈদ সাজ্জাদ জেরিস
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।


এক ছাত্রীর স্কুলের জন্য একটি ট্রেন!
গত ১১ জানুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত একটা খবরে জানা যায়, জাপানে একটি জনহীন রেলওয়ে স্টেশন চালু রাখা হয়েছে একজন স্কুলছাত্রীর জন্য। জাপান রেল মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল স্টেশনটি বন্ধ করে দেবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে জরিপ চলাকালে পরিদর্শকরা দেখেন যে এক স্কুলছাত্রী প্রতিদিন এই ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়া-আসা করে। ট্রেনটি বন্ধ করে দিলে ছাত্রীটির স্কুলে যাওয়া-আসায় কষ্ট হবে। তাই শুধু এই ছাত্রীর জন্য রেলস্টেশনটি চালু রাখা হয়। এমনকি ছাত্রীটির স্কুলে যাওয়া-আসার সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রেনের সময় ঠিক করা হয়। সংবাদ পড়ে অবাক হয়েছি। তবে তার চেয়েও বেশি আনন্দিত হয়েছি। আর সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘশ্বাসও ফেলেছি আমাদের দেশের কথা চিন্তা করে। এদেশে লাখ লাখ মেয়ে চরম পরিবহন সঙ্কটের সম্মুখীন। এদেশে বহুদিন ধরে মহিলা বাস সার্ভিসের প্রবল চাহিদা থাকলেও এর কোনো প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে দুএকটা মহিলা বাস দেখা গেলেও কিছুদিন পর তা আবার উঠিয়ে দেয়া হয় কোনো অজানা কারণে। তাই জাপানের এই খবর পড়ে নিজেকে অসহায় লাগছিল। জানি না আমাদের দেশে কবে সরকার জনণের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে তার সমাধান করবে।
রুনা
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা
ঢাকা।


শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমীপে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের ভুগোল ও বিজ্ঞান বইগুলোতে প্রায়শ দেখা যায় যে, সৌরজগতের গ্রহ ৯টি। আবার যদি ভালকান, এক্স ও এরিস ধরা হয় তাহলে সংখ্যায় বাড়ে। কিন্তু ভালকান, এক্স ও এরিস গ্রহ হওয়ার বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে। কারণ কোনো নক্ষত্রের গ্রহ হওয়ার বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হলে এর ভর, নক্ষত্র থেকে দূরত্ব ইত্যাদি জরুরি। সে দিক থেকে শুধু ঐ বস্তুগুলোর নয়, আমাদের সৌরজগতের দূরতম গ্রহ প্লুটোও গ্রহ হওয়ার বৈশিষ্ট্য থেকে বাদ পড়েছে, যার আবিষ্কারক ক্লাইভ সমবাগ। কারণ এর দূরত্ব সূর্য থেকে ৩০.০৬ এ.ইউ বেশি এবং ভর অন্যান্য সৌরগ্রহের চেয়ে কম এবং তাপমাত্রা ৬০ কেলভিন যা খুবই শীতল। তাই প্লুটোকে গ্রহ না বলে বলা যায় কুইপারবেল্টে অবস্থিত একটি ডোয়ার্ফ গ্রহ বা বামন গ্রহ। কুইপারবেল্ট হলো নেপচুনের বাইরের একটি অঞ্চল, যেখানে অসংখ্য হিমায়িত বস্তু সতত ঘূণায়মান। কিন্তু প্লুটোর চেয়ে বড় বস্তু সৌরজগতে আবিষ্কৃত হয়েছে যার নাম ইউরি ৩১৩, যার আবিষ্কারক মাইক ব্রাইন। কিন্তু এটাকেও আর গ্রহ ধরা হচ্ছে না। যার ফলে প্লুটোকে গ্রহ ধরা যায় না। আবার জ্যোতিষীরা বলেছেন, রাহু ও কেতু গ্রহ তো দূরের কথা প্লুটো কোনো বস্তুই নয়। কারণ তারা ভাগ্য গণনায় প্লুটোকে ব্যবহার করেন না। তাই প্লুটো কোনো সৌর গ্রহ নয়, এটা একটি ডোয়ার্ফ বা বামন গ্রহ। সুতরাং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত বাংলাদেশের সব বইতে এই তথ্যটি সংযোজন করা।
ড. মো. মনসুর আলী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন
আরও পড়ুন