পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সারা দেশে এ আইনে গ্রেফতার সবার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন একই আইনে আগে গ্রেফতার হওয়া ৭ নাগরিক। গতকাল বিবৃতিতে তারা বলেন, বিগত কয়েক বছরে নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন-২০০৬ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর নিপীড়নমূলক মামলার শিকার হয়ে আমরা যারা কারাবন্দি ছিলাম; সম্প্রতি কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। এই আইনে কারাবন্দি সবার জন্য শঙ্কিত বোধ করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঠিক একই সময়ে আমরা প্রচারমাধ্যমে জানতে পেরেছি পুরস্কারপ্রাপ্ত কার্টুনিস্ট কিশোর অভিযোগ করেছেন ২০২০ সালের ২ মে রাতে আটকের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি লেখক মুশতাক আহমেদকেও বৈদ্যুতিক শর্ক দেওয়া হয়েছে। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এটি অবশ্যই গুরুতর অপরাধ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বরখেলাপ। প্রত্যেক বন্দির মানবাধিকার সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের; কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে নাগরিকরা মারা যাচ্ছেন এবং নির্মম শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
বিবৃতিদাতারা আরো বলেন, একটি রাষ্ট্রের আইন তৈরি করা হয় নাগরিকদেরকে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষা প্রদান করার জন্য। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সুরক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে জনগণের জন্য একটি মরণফাঁদ কিংবা নির্যাতনকারীদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষ হত্যাকারী-জনগণের অর্থ লোপাটকারীরা আইনগত প্রক্রিয়ায় জামিন পেলেও, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়ায় জামিন না পাওয়ার সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। যখন এমন হয় সেটি আর ন্যায্য আইন বলে পরিগণিত হয় না, হয়ে উঠে গণমানুষের বিরোধী আইন। বর্তমান বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সে রকমই একটি নিবর্তনম‚লক আইন যা গণমানুষের জন্মগত স্বাধীনতা ও অধিকারগুলোকে রহিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক থেকে শুরু করে শিল্পী-আলোকচিত্রী, সাংবাদিক এমনকি ১৪ বছরের স্কুলপড়ুয়া শিশুও এই আইনের শিকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন।
বিবৃতিদাতাদের দাবি : অবিলম্বে মানবাধিকার কেন্দ্রিক নীতি-নৈতিকতা সমুন্নত রেখে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন-২০০৬ সংস্কার করতে হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। জেলা শহরসহ সারা দেশে এই আইনে গ্রেফতার সবাইকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ও বিচার করতে হবে। লেখক মুশতাক আহমেদকে কারা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর কারণ যথাযথ, প্রয়োজনীয়, গ্রহণযোগ্য ও স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে এবং সেই তদন্ত প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত¡ বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সংগঠক ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সংগঠক ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের রাজনৈতিক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আজিউর রহমান আশাফ, আর্কিটেক্ট গোলাম মাহফুজ জোয়ারদার, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।