পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী, কেউ ছিলেন ফটোগ্রাফি পেশায় বা অন্যন্য কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্ত বর্তমান সময়ে আয় কমে যাওয়ায় পেশা বদলে নাম লেখান মলমপার্টি-ছিনতাইয়ে। ঝুঁকি জেনেও বাসের যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই চালিয়ে আসছিলেন তারা। অবশেষে রাজধানীর উত্তরা-আবদুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূলহোতা স্বপন, ফিরোজ, মাসুদ রানা, শহীদুল ইসলাম, জাকির হোসেন জাকির, শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল ও হাবিবুর রহমান সিরাজ ওরফে সিরাজ মুন্সী। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট কৌটা ভর্তি মলম, ছোট একটি প্লাস্টিকের কৌটায় টাইগার বাম জাতীয় মলম, একটি স্টিলের ছোট কাঁচি, ১০ টি ঘুমের ওষুধ জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, গ্রেফতাররা আগে অন্যান্য পেশায় যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আয়-রোজগার কম হওয়ায় ঝুঁকি থাকা সত্তে¡ও দ্রুত বেশি টাকা আয় করার জন্য যুক্ত হয় মলমপার্টিতে। মলমপার্টির এ সক্রিয় সদস্যরা একত্রিত হয়ে কৌশলে সহজ-সরল যাত্রীদের টার্গেট করে চেতনানাশক ওষুধ ও মলম প্রয়োগ করে টাকা ও মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয়।তিনি বলেন, চক্রটি কোথাও অভিযান চালানোর আগে তারা রেকি করে নেয়। এছাড়া তারা যে বাসে অপারেশন করে সেই বাসের কন্ট্রাক্টরও অনেক সময় বিষয়টি অবগত থাকেন। তাকেও এ টাকার ভাগ দেয়া হয়। ওমর ফারুক বলেন, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা কেউ ১৪ বছর আবার কেউ এক/দুই মাস ধরে কাজ করছে।
এদের কেউ দোকানদার, কেউ ফটোগ্রাফার পেশায় ছিলেন। তারা কম পরিশ্রমে বেশি টাকায় আয় করার লোভে এই পেশায় এসেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির ওই কর্মকর্তা বলেন, মলমপার্টির সংখ্যা কত এমন পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবো। এ চক্রের আটজন সদস্য ছিলো। তাদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেছেন বলেও জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ঢাকা মহানগর উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার খালিদুল হক হাওলাদার, সহকারী মোহাম্মদ জহিরুল হক ও এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।