পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৭৫ দিনের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ২১ মামলার তদন্ত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দীন শামীমের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে বেসিক ব্যাংক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সার্ভেয়ার ইকবাল হোসেন ভুইয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হয়। তারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মমতাজ পারভীন ও অ্যাডভোকেট স্নিগ্ধা সরকার। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
প্রসঙ্গত : সার্ভেয়ার ইকবাল হোসেন বেসিক ব্যাংকটির সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি মামলার আসামি। দেশের আলোচিত বৃহৎ এই ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালে পৃথক ৫৬টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ঋণগ্রহিতাসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ব্যাংকটির ২৬ কর্মকর্তাও রয়েছেন। তবে ঋণ জালিয়াতির সময় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিষদের কোনো সদস্যকেই কোনো মামলায় আসামি করা হয়নি। দুদক ৫ বছর ধরে মামলাগুলোর তদন্ত করছে। এত দিনেও দুদক এ ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি। চার্জশিটও দাখিল করতে পারেনি। এ প্রেক্ষাপটে আসামি ইকবাল হোসেনের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত ২১টি মামলার তদন্ত শেষ করতে সময়সীমা বেঁধে দিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বেসিক ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল- ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের মার্চে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকায়। ওই ৪ বছর ৩ মাসে ব্যাংকটি ৬ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকাই জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।