পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ মৃত্যুবরণ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারিভাবে দেশটি এখনও এ সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা দেয়নি। তবে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট করিমভ মারা গেছেন এবং তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। কিন্তু উজবেকিস্তান থেকে এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি ঘোষণা আসেনি। ইসলাম করিমভের স্বাস্থ্য নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনা চলছে গত কয়েকদিন ধরে।
উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রথম তার গুরুতর অসুস্থতার খবর দিয়ে বলা হয়, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় তার অবস্থার অবনতি ঘটেছে। ইসলাম করিমভ গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে উজবেকিস্তান শাসন করছেন। তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইসলাম করিমভের নিজের শহর সমরখন্দের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। সেখানে এমন জল্পনা চলছে যে, এসব তাকে শেষ বিদায় জানানোর প্রস্তুতি।
এদিকে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান নাজারবায়েভ চীনে তার সফর সংক্ষিপ্ত করে উজবেকিস্তানে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসা উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাবেক কমিউনিস্ট নেতা ইসলাম আবদুগানিয়েভিচ করিমভ। উজবেকিস্তানে সেটাই ছিল সর্বশেষ সত্যিকারের নির্বাচন।
ক্ষমতায় আসার পর তিনি সমালোচক এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জেলে পাঠাতে শুরু করেন। অনেককে নির্বাসনে পাঠানো হয়। ইসলামপন্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহে হাজার হাজার মুসলমানকে তিনি কারাবন্দী করেন। তিনি দাবি করেন যে, উজবেকিস্তান তাদের মতো করে গণতন্ত্রের চর্চা করছে।
ইসলাম করিমভের এই কথিত গণতন্ত্রে বাকস্বাধীনতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার কোন বালাই ছিল না। ১৯৯৯ সালে তিনি এক হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। এরপর তিনি বিরোধীদের ওপর দমন-নিপীড়ন আরও তীব্র করেন।
২০০৫ সালে আনদিজানে এক সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভ দমন করা হয় নির্মমভাবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানায়, সেখানে শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে সেনারা হত্যা করে। তার অবর্তমানে কে উজবেকিস্তানের হাল ধরবেন সেটা এখন বড় প্রশ্ন। এক সময় তার বড় মেয়ে গুলনারাকেই সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ভাবা হতো। কিন্তু নানারকম ব্যবসায়িক কেলেঙ্কারি এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনের কারণে তার সেই সম্ভাবনা আর নেই। তাকে এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে এখন যে দু’জনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শাভকাত মিরজিয়ায়েভ এবং ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী রুস্তাম আজিমভ। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।