পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বাতিল করার আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেয়া হয়। কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় পাকিস্তানি শাসকদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বক্তব্যের মতোই আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য বলা হয়, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন, কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তার আইন বাতিল করুন। নাহলে জনগণকে ‘আর দাবায়ে রাখতে পারবা না’।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে নাগরিক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় অংশ নেন নাগরিক সমাবেশের সভাপতি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ভাসানী অনুসারি পরিষদের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক সেলিম খান, রাষ্ট্রচিন্তার অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুমসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তৃতার পর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হলে প্রথমেই কদম ফোয়ারা এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। ব্যারিকেড ভেঙে পদযাত্রাটি মৎস্য ভবনের দিকে যায়। সেখানে পুলিশ আবার ব্যারিকেড দেয়। পরে সেখান থেকে শাহবাগ মোড়ে ফের পুলিশ পদযাত্রাটি আটকানোর চেষ্টা করে। সেখানেও পুলিশ ব্যর্থ হলে পরীবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিন্টোল এলাকায় পদযাত্রা আটকানো হয়। সেখানে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে নাগরিকদের পক্ষ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আলটিমেটাম দেন জোনায়েদ সাকিসহ একাধিক বক্তা। এর মধ্যে আইনটি বাতিল করা না হলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে নাগরিক সমাবেশের সভাপতি ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আপনার লুকোচুরি বন্ধ করেন। আপনাকে আপনার পিতার অমর বাণীটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- ‘আর দাবায়ে রাখতে পারবা না’। তিনি আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনার পিতা সিরাজুল হক সাহেব সত্যের জন্য যে কোনো সময় সত্য কথা বলতে ভয় পাননি। তাহলে আপনি কেন সত্য কথা বলতে ভয় পান? আজকে আমার সকল কথা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। যদি আমার কথায় আপনি ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে আমার নামে একটি মামলাও করতে পারেন। মামলা করার সময় ৫ হাজার টাকা কোর্ট ফি দিতে ভুলবেন না। তিনি বলেন, আজ কিশোরের যে রায়টি দিয়েছেন সেটি ‘অসম্পূর্ণ রায়’। যারা সংবিধান ভঙ্গ করেছেন, যারা সংবিধান লংঘন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। এটি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্যকে এসপি পদমর্যাদা পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ-সুবিধা করে দেব। আপনাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করে দেব। আপনারা সরকারের পাশে নয়, আমাদের পাশে, জনগণের পাশে থাকুন।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যর মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন, একটা লোক মারা গেলেই এত হইচই করেন কেন। লোকের অসুখ-বিসুখ হবে না, মরবে না। এখন ওনি কেন বাসা থেকে বের হন না, সেটা আমি জানি না। কিন্তু ওনি করোনাকে খুব ভয় পান। এতোগুলো লোক ওনার কাছে যাবে তাই তিনি পুলিশকে বলে রেখেছেন মৎস্যভবন এলাকায় তোমরা দাঁড়িয়ে যাও। ওরা যেন আসতে না পেরে। আইজিপি কয়েকদিন আগে বলেছেন, পুলিশকে কেন প্রতিপক্ষ বানানো হয়। এখন আমি আইজিকে বলতে চাই, এই যে পুলিশরা মৎস্যভবন এলাকায় দাঁড়াল তারা কি আমাদের পক্ষে? আমরা যেন ওদিকে যেতে না পারি, এজন্য তারা ব্যারিকেড তৈরি করেছে। আমরা সবাই চাই গণতন্ত্রের পথে, আন্দোলনের পথে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে যেই বাধা আসবে সেই বাধা গুঁড়িয়ে দিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।