পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (আইসিটি) মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারওয়ার হোসেন।
২০২০ সালের ৫ মে র্যাব-৩, সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়। ওই রাতে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কার্টুনিস্ট কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩। পরে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা র্যাবের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি এ মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদকে (সম্প্রতি কারা হেফাজতে মৃত) অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে রমনা থানা পুলিশ। ওই চার্জশিটে জুলকারনাইন খান ওরফে সামিসহ অন্য ৮ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া অন্য আসামিরা হলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, ‘নেত্র নিউজ’র সম্পাদক ও সুইডেন প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন শায়ের খান ওরফে সামি, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।
মুশতাক আহমেদ মৃত্যুবরণ করার পর কারাবন্দী কিশোরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। লেখক মুশতাকের মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও আইনটির বিষয়ে সরকারের প্রতি তাগিদ আসছে। এ প্রেক্ষাপটে কিশোরের জামিন আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।