পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য বিখ্যাত এই দেশে বরাবরের মতো এবারও হাজীদের সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। নিবন্ধন, বাড়ি ভাড়া, ভিসা, টিকেট ও ফ্লাইটে ওঠা পর্যন্ত অধিকাংশ হজযাত্রীকে এত অনিশ্চয়তা ভোগান্তি হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে যার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। এমনকি অতীতে বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে প্রায় সকল হজযাত্রীর এভাবে নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘটনা দেখা যায় না। এ বিষয়ে চিন্তাশীল মহল মন্তব্য করেছেন, একশ্রেণির নাস্তিক-মুরতাদ মহান ইসলাম ও মুসলমানদের পবিত্র ইবাদত হজের প্রতি বিদ্বেষ থেকেই কৌশলে প্রতিটি জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিপত্তি সৃষ্টি করেছে; যেন মানুষ হজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। একইভাবে এরা কুরবানীর আগ্রহ কমাতেও নানান চক্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ইসলামবিদ্বেষী শক্তির কূটচালেই এসব হচ্ছে। পাঠ্যসূচি শিক্ষানীতির বিষয়েও অনুরূপ চক্রান্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি। প্রয়োজনে অফিসগুলো ইসলামপ্রিয় কর্মকর্তাদের দিয়ে ঢেলে সাজাবেন। কোন চক্রান্তকারী চক্রান্ত করতে না পারে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুসলমানদের ওয়াজিব ইবাদত কোরবানী নিয়েও কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী লোক অহেতুক নেতিবাচক ও তিক্ত বাতাবরণ তৈরি করতে সচেষ্ট রয়েছে। জীবনভর চলে আসা এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানটির কঠোর সমালোচনা ও ছিদ্রান্বেষণে তারা সারা বছরই বগল বাজিয়ে চলেছে। কুরবানীর বর্জ্য মনে হয় তাদের মাথায় রাখা হয়। কুরবানীর বর্জ্য প্রতিটি পরিবার নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে থাকেন। কেউ যত্রতত্র রক্ত ও বর্জ্য ফেলে রাখে না। তারপরও কুরবানীর মতো ইবাদতকে কেউ নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সরকারের ভেতর লুকিয়ে থাকা এসব বর্ণচোরা ধর্মহীন নাস্তিক-মুরতাদ চক্রই কৌশলে কলকাঠি নাড়ছে। কুরবানী নিয়ে এমন কিছু নির্দেশনা আলোচনায় এসেছে যার বিষয়ে অভিজ্ঞ মহল তাদের হতাশা ব্যক্ত করেছে। তাদের মতে, কুরবানীর মতো ইবাদতকে সাধারণ গরু জবাই মনে করে যারা এজন্য স্থান নির্ধারণ করেছেন, তাদের চিন্তা নিতান্তই ভুল ও অবাস্তব। সউদী আরবেও হাজী ছাড়া অন্যরা ঘরে ঘরে কুরবানী দেয়। তিনি কুরবানী নিয়ে যেকোন চক্রান্ত রুখে দেবার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।