পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সারাদেশে চলমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার হচ্ছে দেশিয় প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের সিরিঞ্জ। ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিন কোটি ৩০ লাখ পিস অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ কিনেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সিরিঞ্জ সরবরাহের পাশাপাশি ব্যবহার পরবর্তী ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করেছে জেএমআই। আর তাই টিকাদানের সময় কোনো ধরণের রোগ জীবাণু পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই।
বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সস্ত্রীক করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা গ্রহণ করে জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে নানা প্রতিক‚লতার মধ্যেও আমাদের কোম্পানির উৎপাদিত পণ্যের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে। করোনার এই দুঃসময়ে একদিনের জন্যও আমরা কারখানা বন্ধ করিনি। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনের স্বীকৃতি আমরা এরইমধ্যে পাচ্ছি।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পেছনে জেএমআই এর অবদান রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে সরকারের টিকাদান কর্মসূচিতে আমরা সিরিঞ্জ সরবরাহ করে আসছি। যার ধারাবাহিকতায় সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচিতে আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। এরইমধ্যে সরকার আমাদেরকে ৩ কোটি ৩০ লাখ সিরিঞ্জ সরবরাহের আদেশ দিয়েছে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সামনের দিনেও সরকারের যেকোন প্রয়োজনে জেএমআই গ্রæপ পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেসের রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদ। যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানি করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। আর এ বছরই করোনার টিকা কার্যক্রমে ব্যবহৃত এডি সিরিঞ্জ, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাজারজাতের অনুমতির পূর্বশর্ত (সিই০০৬৮ সনদ) নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দিনে ১২ লাখ সিরিঞ্জ বানাতে পারে। সে হিসাবে মাসে তিন কোটি ৬০ লাখ পিস।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার টিকা কার্যক্রম হাতে নেয়ায়, জেএমআই নানা দেশ থেকে সিরিঞ্জ কেনার আগ্রহপত্র পাচ্ছে। এরইমধ্যে ইন্দোনেশিয়াতে দেড় কোটি সিরিঞ্জ রফতানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। করোনার টিকা দেয়ার জন্য ব্যবহৃত অটো ডিজেবল সিরিঞ্জ এক ধরনের বিশেষায়িত পণ্য, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পিকিউএস সনদ নিয়ে বিশ্বের অল্প সংখ্যক কোম্পানি উৎপাদন করে থাকে। করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী এ পণ্যটির সরবরাহ সংকট চলছে। দেশের একমাত্র এডি সিরিঞ্জ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।