পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে গার্মেন্টস সেক্টরকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘শ্রমিক কনভেনশনে’ তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাজাহান খান বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে গার্মেন্টস সেক্টরকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিলে গার্মেন্টস সেক্টর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। এ জন্য জঙ্গিরা বিদেশিদের হত্যা করছে, যাতে এই সেক্টর ধ্বংসের সম্মুখীন হয়। শ্রমিকরা এখন গ্রহণযোগ্য মজুরি পাচ্ছে, শ্রমিক আন্দোলনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় না। শ্রমিকদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গিদের সঙ্গে আছে, তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে কাউকে পাননি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
কনভেনশনে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, শ্রমিকদের দাবিগুলো সমাধান না করতে পারলে জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্য সাধন সম্ভব নয়। জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাদের (জঙ্গিদের) মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন জঙ্গিদের কেন মেরে ফেলা হচ্ছে? তাদের জিজ্ঞাসা করলে তো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসত, দেশে কি আইন আদালত নেই?- আমি খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন অপারেশন ক্লিন হার্টে যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের কি মানবাধিকার ছিল না? তারা তো জঙ্গিও ছিল না। তখন কি দেশে আইন ছিল না? ১০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছিল।
জঙ্গিবাদ নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া যখন এমন প্রশ্ন করেন, তখন তার জঙ্গিপ্রীতি প্রকাশ পায়। বলছেন জাতীয় ঐক্য, কিন্তু দেখাচ্ছেন জঙ্গিপ্রীতি। তাহলে জাতীয় ঐক্য হয় কীভাবে- আমরা জানি না। ভাবাদর্শগতভাবে আইএসের সঙ্গে এ দেশের জঙ্গিদের মিল থাকতে পারে, কিন্তু দেশে আইএস নেই।
কনভেনশনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। কনভেনশনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ওয়াজেদ ইসলাম খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।