পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : হালদাকে জাতীয় নদী ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া। গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে হালদা নদী রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘হালদা নদীর বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সিকান্দার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন দেশের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক মনোনীত হওয়ায় এবং হালদা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে চবির প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী, স্থানীয় দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, হালদার ডিমসংগ্রহকারী, মৎস্যজীবীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। শুরুতে মনজুরুল কিবরিয়া হালদা নদীর সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন।
হালদা নদী রক্ষা কমিটির সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল হক হায়দারী, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম, মহসিন কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, পরিবেশবিদ অধ্যাপক আবু নোমান।
হালদার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ২০১৬ সাল হালদার জন্য একটি মহাবিপর্যয়ের বছর। গত এক শতকে প্রতিবছরই মা মাছ মূল ডিম ছাড়লেও এই বছর কেবল ছাড়ে নমুনা ডিম। দখল, দূষণ, মনুষ্য অত্যাচারের ফলে মা মাছ এবার মূল ডিম ছাড়েনি। এ জন্য স্থানীয় মানুষ দু’বার রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করেন। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। সঙ্গে আর্থিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে হালদা এলাকার মানুষের ওপর।
তিনি বলেন, হালদার মাছ থেকে বছরে ৮০০ কোটি টাকা জোগান দেয়। এটি চট্টগ্রামের লাইফ লাইন। চট্টগ্রাম মহানগরে ৬৫ কোটি মানুষের পানি সংগ্রহ হয় হালদা থেকে। বিশ্বের বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন এ নদীতেই আছে। কিন্তু দূষণের কারণে কেবল পানি দূষিত হচ্ছে না জনজীবন, পরিবেশ-প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য বিপর্যস্ত। নদীর প্রাণ পানি প্রবাহ। মদুনাঘাটে দুটি সেতুর কারণে সেই পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর উজানে বাঁক সোজাকরণ, নদীর পাড় দখল, তামাক চাষের বিষাক্ত পানি, কৃষি জমি ও চা বাগানের কীটনাশক থেকে হালদাকে বাঁচাতে হবে।
হালদার উজানে রাবারড্যাম, সøুইসগেট দেওয়ায় পানির জোগান কমে যাওয়ায় হালদার পানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। ৩০টি বড় মেকানাইজড ড্রেজার দিয়ে নির্বিচারে বালু তোলা হচ্ছে, যা হালদার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। সন্ধ্যার পর মদুনাঘাট এলাকায় প্রভাবশালীদের ড্রেজারের মহোৎসব চলে। সরকার ড্রেজার বন্ধে উদ্যোগ না নিলে হালদার মা মাছ বাঁচবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।