Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীমান্তকে আইএস ও কুর্দি মিলিশিয়া থেকে মুক্ত করাই অভিযানের লক্ষ্য

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অস্ত্রবিরতির মার্কিন দাবি তুরস্কের প্রত্যাখ্যান
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্ক বলেছে, সিরীয় সীমান্তে তার নজিরবিহীন অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে ওই এলাকাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আইএস-বিরোধী কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া উভয় থেকে মুক্ত করা। খবর এএফপি।
তুরস্ক কুর্দি মিলিশিয়াদের সাথে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে লড়াই বন্ধ থাকার কথা নিশ্চিত করেছে তুর্কি সমর্থিত যোদ্ধারা।
সীমান্ত এলাকা থেকে আইএসকে বিতাড়িত করা ও মার্কিন সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়াদের পশ্চিমমুখী অগ্রাভিযান প্রতিহত করতে আরব বিদ্রোহীদের সমর্থনে এক নজিরবিহীন অভিযানে তুরস্ক সিরিয়া ভূখ-ে ট্যাংক প্রেরণ করে।
কুর্দি বাহিনীর ওপর এ হামলা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের সৃষ্টি করে। যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বলে, দু’পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু আংকারা এ দাবি অস্বীকার করে বলে, কোনো অস্ত্র বিরতির প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের একজন মুখপাত্র তুরস্কের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) প্রভাবিত মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সকে (এসডিএফ) উত্তরপূর্বে পশ্চাদপসরণ করতে হবে। তিনি বলেন, ফোরাতের পুব দিকে সরে না যাওয়া পর্যন্ত তারা আমাদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকবে।
আংকারা যখন এ নিয়ে অনমনীয় মনোভাব ব্যক্ত করছে তখন তুরস্কের পক্ষে লড়াই করা বিদ্রোহীদের একটি গ্রুপ বলেছে, লড়াই বন্ধ রয়েছে। সুলতান মুরাদ গ্রুপের কমান্ডার আহমেদ ওসমান এএফপিকে বলেন, মঙ্গলবার থেকে এসডিএফের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও একই কথা বলেছে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বুধবার বলেন, সন্ত্রাসীরা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ও আমাদের সীমান্ত, ভূখন্ড ও নাগরিকদের উপর হুমকির অবসান না হওয়া পর্যন্ত তুরস্কের অভিযান চলবে।
তুরস্ক ওয়াইপিজিকে বিদ্রোহী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি শাখা হিসেবেই দেখে। পিকেকে কয়েক দশক ধরে তুরস্কের সাথে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে তুরস্ক উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে পিকেকে’র সিরীয় কুর্দি মিত্ররা সীমান্তের ওপারে অগ্রসর হচ্ছে। তুরস্কের আশংকা যে তাদের এলাকা দখল পিকেকে’কে শক্তিশালী করবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ওয়াইপিজিকে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছে।
ওয়াশিংটন তুরস্ক ও ওয়াইপিজির মধ্যকার সংঘর্ষকে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেছে ও তার বদলে আইএসের বিরুদ্ধে লড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তুর্কি মিডিয়া জানায় যে আংকারা সমালোচনার প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। তবে তুরস্ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন বাসের সাথে শুধু ফোনে কথা হয়েছে।
এদিকে ইরান তুরস্ককে তার অভিযানের দ্রুত সমাপ্তি ঘটাতে আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। তবে তুরস্ক জানায়, সিরিয়াকে এ অভিযানের ব্যাপারে রাশিয়া আগেই অবহিত করে।
এ অভিযানে তুরস্ক ইতোমধ্যে একজন সৈন্যকে হারানোর পর একটি ট্যাংকের উপর রকেট হামলায় ৩ তুর্কি সৈন্য আহত হয়।
এদিকে আইএস ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২টি তুর্কি ট্যাংক ধ্বংসের দাবি করেছে। তারা তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গাড়ি বোমা হামলা চালানো এবং কয়েক ডজন তুর্কি সৈন্য ও বিদ্রোহী হত্যার দাবি জানায়।
একজন বিশ্লেষক বলেন যে তুরস্কের জারাব্লুস অভিযান আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্থলে কুর্দি মিলিশিয়ারাই একমাত্র কার্যকর বাহিনী বলে সৃষ্টি হওয়া মিথের অবসান ঘটিয়েছে । দেখা গেছে যে সমর্থন পেলে সিরীয় বিরোধী বাহিনীও আইএসের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই করতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সীমান্তকে আইএস ও কুর্দি মিলিশিয়া থেকে মুক্ত করাই অভিযানের লক্ষ্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ