পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, ঐ আইনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি এবং কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৩ নম্বর গেটের সামনে এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
পুলিশি বাধার মুখে কর্মীরা সেখানেই সমাবেশ শুরু করেন। পরে ঐ এলাকার যান চলাচল পুরোদমে বন্ধ হয়ে যায়। ১টা ১৫ মিনিটে সমাবেশ শেষ হলে যান চলাচল আবারও স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে সংগঠনটির কর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যেতে শুরু করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা দেখবেন জেলখানায় লেখা থাকে রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ। আপনারা কি আলোর পথ দেখালেন মুশতাককে? একজন মানুষ মারা গেলেন, অথচ তিনি জানেন না যে, তিনি অপরাধী না নিরপরাধ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল ছিল। সেই মশাল মিছিলে পুলিশ হামলা করেছে।
আবার পুলিশ প্রেস ব্রিফিং করে বলেছে আমাদের ছেলেরা নাকি তাদের আহত করেছে। পুলিশের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না, এটা আমরা জানি। এ মাস থেকে সরকার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে। তারা যে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে সেটা আওয়ামী লীগের সুবর্ণ জয়ন্তী, লুটপাটের সুবর্ণ জয়ন্তী। ১৯৭১ সালের পর থেকে এ দলটি বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে অপমানিত করেছে। আপনারা দেখেছেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদেরকে দিয়ে তারা ব্যালট চুরি করিয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা দাবি করছি লেখক মুশতাকের মৃত্যুর বিচার করতে হবে, ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে কাল আইনটি বাতিল করতে হবে এবং সর্বশেষ ৭ জন ছাত্রনেতা এবং একজন শ্রমিক নেতাকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আটজন রাজবন্দিকে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে। না হলে এই ঘেরাও মিছিল প্রতিবাদ মিছিলে রূপান্তরিত হবে। আমরা আজ সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করছি। তবে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
সমাবেশ শেষে রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে এসেছিল। এজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনো ব্যারিকেড ছিল না। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করেছে। আমাদের অনুরোধ রেখে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে চলে গেছেন। তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। যার শিকার লেখক মুশতাক। এখনও কিশোর জেলে। মশাল মিছিলে হামলা হচ্ছে। পরে আবার দোষ চাপিয়ে মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। তাই আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা জেলের তালা ভেঙে বন্দিদের মুক্ত করবো।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে একটি বর্বর, কুখ্যাত আইন করা হয়েছে যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যারাই কথা বলছে, মত প্রকাশ করছে তারা রাজাকার হচ্ছে। আমরা এই আইন বাতিলের জন্য প্রয়োজনে জীবন দিবো।
বিল্পবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, আজ ৯টি সংগঠন আমরা একত্রিত হয়েছি। আমরা ৮ জন বন্দির মুক্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও লেখক মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।