পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার র্যাব-৩ কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে তাদের হেফাজতে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এই অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি অভিযোগে বলেন, ২০২০ সালের ৫ মে র্যাব-৩ কিশোরকে তার লালমাটিয়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এই শারীরিক নির্যাতনের কারণে তার দুই কানে আঘাত পায় ও তার বাম পায়ে আঘাত করার কারণে সে কারও সহযোগিতা ছাড়া স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারে না। এরকম ঘটনা ২০১৩ সালের হেফাজত ও নির্যাতন আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার পরেও কিভাবে একটি মামলার আসামিকে রিমান্ডের আবেদন করেন, সেটা আমার বোধগম্য নয় বরং আমরা তাকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় তার প্রতিকার চেয়ে আদালতে অভিযোগ করবো।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার বিরুদ্ধে করা তিন দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার আসামি লেখক মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গতকাল সেই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার অপর আসামি লেখক মুশতাক আহমেদ কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান। অপর আসামি আহমেদ কবির কিশোরকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়নি।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়–য়া আদালতকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার আহমেদ কবির কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছিল। অথচ এখন আবার নতুন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। এটা আইনের পরিপন্থী। আসামিকে আদালতেও হাজির করা হয়নি। মামলার অপর আসামি মুশতাক আহমেদ কারাগারে মারা গেছেন। এই রিমান্ডে নেয়ার আবেদন বাতিল করা হোক। এ সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান, কেন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি? তখন রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর কোনো জবাব আদালতের কাছে দেয়া হয়নি। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আহমেদ কবির কিশোরকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।