পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুলে সেক্স টয় বিক্রির উদ্দেশে যৌন উদ্দীপক বিজ্ঞাপন দিতো একটি চক্র। চক্রটির সদস্যরা ত্রিশোর্ধ্ব একটি গ্রুপকে টার্গেট করে আমদানি নিষিদ্ধ এ সব পণ্য বিক্রি করত। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর পল্লবী থেকে এই চক্রের মূল হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম। গতকাল মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কামরুল আহসান।
তিনি জানান, গত ৭ জানুয়ারি মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের ছাত্রী আনুশকার মৃত্যু হয় রক্তক্ষরণে। ময়নাতদন্তে জানা যায়, বিকৃত যৌনাচার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় সে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে, আনুশকাকে নির্যাতনের সময় এক ধরনের ফরেন বডি ব্যবহার করেছিল। আনুশকার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে সেক্স টয় বিক্রির বিষয়টি সিআইডির সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম এর নজরে আসে।
তারা এ বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। অনুসন্ধানের জানতে পারে কয়েকটি সংঘবদ্ধচক্র নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফেসবুক পেজে দেশে বিক্রি নিষিদ্ধ যৌন উদ্দীপক বিভিন্ন পণ্যের ছবি এবং ভিডিওসহ বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম এ ধরনের কয়েকটি ওয়েবসাইট ফেসবুক পেজকে শনাক্ত করে।
তিনি আরো জানান, এ সব ওয়েবসাইট ও পেজগুলোর বিষয়ের নিবিড় অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডির সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম। অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সব পণ্য বিক্রির আর্থিক লেনদেন হয় বিকাশ ও রকেটে। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সংঘবদ্ধ চক্রটি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির আড়ালে এসব নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশ নিয়ে আসছে। পরবর্তীতে ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোভনীয় বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে।
পরে পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেজাউল আমিন হৃদয়, মীর হিসামউদ্দিন বায়েজিদ, মো. সিয়াম আহমেদ ওরফে রবিন, মো. ইউনুস আলী, আরজু ইসলাম জিম ও চক্রের মূল হোতা মো. মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ওরফে সানিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা মূল্যের সেক্স টয়, পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও ৯টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার ৬ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেক্স টয়ের বাজারমূল্য জানতে চাইলে সিআইডির কর্মকর্তা জানান, ১২ লাখ টাকার অবৈধ্য সেক্স টয় উদ্ধার করেছি কিন্তু এগুলোর প্রকৃত অর্ধেকও না। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এসব পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলছে। যেমন লাইকি, টিকটক ব্যবহার করে একটি ক্লোজ গ্রুপ তৈরি করে, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ডিজেপার্টির আড়ালে এ ধরনের কর্মকান্ড চলছিল।
আমদানি নিষিদ্ধ এসব পণ্য দেশে আসার ক্ষেত্রে কাস্টমসের দায়ভার এড়াতে পারে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অনুসন্ধান মাত্র শুরু করেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। দারাজও এসব সেক্স টয় খোলামেলাভাবে বিক্রি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত মাত্র শুরু করেছি। ওয়েবসাইটে যারা এসব বিক্রি করছে তাদের ফুটপ্রিন্ট আছে। এ বিষয়গুলো আমরা ধরে ধরে কাজ করব।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও সিআইডি ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন ছাড়া অনুশকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং তার শরীরের ফরেন বডি উপস্থিতি ছিল কীভাবে তারা বুঝেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআইডির ডিএনএ টেস্ট এখনও চলছে এবং ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এখনো আসেনি। তবে আমরা ঘটনার পর ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, অনুশকাকে নির্যাতন করার সময় ফরেন বডি উপস্থিতি ছিল। আরে তাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং সে মারা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।