পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো)। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ২০ শতাংশই এককভাবে দখলে নিয়েছে এই কোম্পানিটি। শুধু গতকাল রোববার নয়, কয়েক মাস ধরেই দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে এমন দাপট দেখাচ্ছে মাঝারি মানের বা ‘বি’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৬০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। আগের কার্যদিবস বা ২৫ ফেব্রুয়ারি ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৭৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকোর অবদান ছিল ১২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে শেয়ারবাজারে ১৯ দিন লেনদেন হয়েছে। এই ১৯ দিনে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৪৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৭৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারি মাসের লেনদেনের বড় অংশই শুধু বেক্সিমকো দখলে নেয়নি। এ মাসটিতে লেনদেন হওয়া ১৯ দিনের মধ্যে ১৮ দিনই বেক্সিমকোর শেয়ার সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে। আর একদিন লেনদেনের সর্বোচ্চ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল কোম্পানিটি।
এমনকি শুধু লেনদেনে নয়, সম্প্রতি দাম বাড়ার ক্ষেত্রেও কোম্পানিটির শেয়ার ব্যাপক দাপট দেখিয়েছে। গত সাত মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ছয় গুণের বেশি বেড়েছে। গত ৩০ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। গতকাল লেনদেন শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ সাত মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বৃদ্ধির হার ৫০১ শতাংশ। অবশ্য মাঝে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ৯৫ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল।
শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটা ভালো না। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০১৯ সালেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। তবে ২০১৮ ও ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের ছয় মাসে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর) কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১ টাকা ৯২ পয়সা। এর মধ্যে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসেই শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।