পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২১ সালের শুমারি অনুযায়ী দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে পাখির সংখ্যা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে হাওর ও বিল শুকিয়ে মাছ ধরা, অবাধে পাখি শিকার ও পাখির নিরাপদ স্থান গড়ে না ওঠা। যে কারণে এক বছরের ব্যবধানে হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন বিলে পাখির সংখ্যা কমে গেছে।
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া এবং সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিরাট অংশ নিয়ে দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি। প্রায় ১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর আয়তনের এই হাওরে রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৩৮টি বিল। চলতি বছরের ২৩ ও ২৪ ফেব্রæয়ারি হাকালুকির ৪৬টি বিলে অনুষ্ঠিত হয় পাখি শুমারি। ওই শুমারিতে ৪৬ প্রজাতির ২৪ হাজার ৫৫১টি জলচর পাখির দেখা মিলেছে। ২০২০ সালে হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি জলচর পাখির উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৪৭২টি বিভিন্ন প্রজাতির হাঁসের দেখা মিলেছে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, বার্ড ক্লাবের সহ সভাপতি তারেক অণু, আইইউসিএনের মুখ্য গবেষক সীমান্ত দিপু এবং আইইউসিএন বাংলাদেশের অন্য গবেষকরা পাখি শুমারিতে অংশ নেন। বন বিভাগের সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন (আইইউসিএন), প্রকৃতি ও জীবন এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব হাকালুকি হাওরের ৪৬টি বিলে এ বছর শুমারিটি করে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহ সভাপতি তারেক অনু জানান, হাকালুকি হাওরে ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড় খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, কাটুয়া, তেকোণা, গজুয়া, হারামডিঙা, গোয়ালজুড়, মেদা, বায়াসহ হাওরের ৪৬টি বিলে পাখিশুমারি চলে।
তিনি আরও বলেন, পাখি কমার পেছনে অনেক কারণ আছে। স্থানীয় মানুষকে সচেতন হয়ে পাখি শিকার বন্ধ এবং তাদের আবাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাখি কমে গেলে মাছও কমে যাবে। যে হাওর বা বিলে পাখি থাকে না, প্রাকৃতিক নিয়মে সেখানে মাছও হবে না। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে হাকালুকি হাওরে পাখির সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২৮১। ২০১৮ সালে তা কমে এসে দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ১০০। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৯৩১। ২০২০ সালের শুমারিতে হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি পাখির দেখা মেলে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত শুমারিতে ৪৬ প্রজাতির ২৪ হাজার ৫৫১টি জলচর পাখির দেখা পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।