পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউয়ের ভিসি জানিয়েছিলেন, গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। রোববার বিকেল থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। ইব্রাহিম খালেদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
ইব্রাহিম খালেদ জানুয়ারির শেষ দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি ওই সময় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নেন। সেখানে চিকিৎসার পর করোনা নেগেটিভ হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এখন তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ দীর্ঘ ছয় দশক ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যুক্ত। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকিং ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে ২০০৯ সালে ‘খান বাহাদুর আহছানউল্লা স্বর্ণপদক’ ও ২০১৩ সালে ‘খান বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী’ জাতীয় পুরষ্কার দেওয়া হয়। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ২০০০ সাল থেকে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।