Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাৎক্ষণিক দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত-ড. শাহদীন মালিক

প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, আজকে সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বলা হয়েছে দুই মন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন। শপথ ভঙ্গ করার পর সাংবিধানিক পদে কোন ব্যক্তির থাকার নৈতিক অধিকার নেই। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে শপথ ভঙ্গের বিষয়টি উঠে আসায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তাৎক্ষণিক পদত্যাগ করবেন বলে
আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননার দায়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকরা এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হলো যারা এসব (সাংবিধানিক) পদে থাকেন তারা আইনের তোয়াক্কা করেন না, সংবিধানের তোয়াক্কা করেন না। পদের মায়ায় পদে শেষ দিন পর্যন্ত বসে থাকেন। আমার মনে হয়, অপচেষ্টার শেষ হওয়া দরকার এবং যারা সাংবিধানিক পদে আছেন তারা সাংবিধানিক পদে থেকে যে ধরনের আচরণ আমরা আশা করি সে আচরণই করবেন। অর্থাৎ নৈতিকতা এবং আইনের ভার মাথায় নিয়ে আজকে থেকেই, আমি তো বলব, এই মুহূর্ত থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। আর পদত্যাগপত্র জমা দিলে সেটা সাথে সাথেই কার্যকর হয়।
আইন অনুযায়ী আদালতের রায়ে জরিমানা হওয়ার পরই দুই মন্ত্রীর পদচ্যুত হওয়ার কথা বলে উল্লেখ করেছেন শাহদীন মালিক। সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আইনের বিধান তুলে ধরে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতির একমত রায় হলো যে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আমাদের একটা আইন আছে, যারা সরকারের কর্মে নিয়োজিত তাদের কোনো জরিমানা অথবা জেল হলে পদ থেকে সাথে সাথে বরখাস্ত হয়ে যান। মন্ত্রীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হওয়ায় ওই আইন অনুযায়ী তাদের পদচ্যুত হওয়ার কথা আইনগতভাবে। কিন্তু কেউ যদি আইনের তোয়াক্কা না করে সেটা তো ভিন্ন কথা। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতে, দুই মন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন। তিনি আরও বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে যেটা বলা হয় সেটাই হলো রায়। এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বলা হয়েছে উনারা তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। শপথ ভঙ্গ করার পরে সাংবিধানিক কোনো পদে কোনো ব্যক্তির এক মুহূর্ত থাকার কোনো নৈতিক, সাংবিধানিক অধিকার নাই। তিনি মনে করেন সংবিধান লংঘন করার কোনো সুনির্দিষ্ট শাস্তি লেখা নাই। তবে সাংবিধানিক পদে থেকে সংবিধান লংঘন করলে সরে যাওয়াটাই বিধান বলে উল্লেখ করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, এটা বুঝতে হবে সংবিধানের কোথাও সংবিধানের কোনো বিধান লংঘন হলে কী শাস্তি হবে সেটা বলে দেয়া নাই। কারণ, সংবিধান তো অপরাধীদের একটা আইন না। সংবিধানের মূল ধারণাটা হলো-কেউ যদি কখনো দেখা যায় সাংবিধানিক পদে থেকে সংবিধানের কোনো বিধান লংঘন করেছেন তাহলে সাথে সাথে সরে যাবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তাৎক্ষণিক দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত-ড. শাহদীন মালিক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ