পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা : গত ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম এর জন্য এখনো অপেক্ষার প্রহর গুণছেন জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী। তার বিশ্বাস ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরই তার সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
ফলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে আরো সময় চেয়েছেন ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলসুপার প্রশান্ত কুমার বনিক এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মীর কাসেম আলীকে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আরো কিছু সময় চেয়েছেন। সেই সময় কতটা এটা নিশ্চিত করে তিনি কিছু জানাননি।
তিনি জানান, এ সময়টা আর কতটুকু দেয়া হতে পারে সেটা সরকার ও কারা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এসে পৌঁছে দেয়া হয়। রাত অনেক বেশি হওয়ায় রাতে মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শুনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় আনুষ্ঠানিকভাবে পড়ে শুনানো হয়। ৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দী রয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আলবদর কমান্ডার ও জামায়াতের শুরা সদস্য মীর কাসেম আলীকে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মৃত্যুদ- দেয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। চলতি বছরের ৮ মার্চ আপিল বিভাগ মৃত্যুদ-ের রায় বহাল রাখে। এরপর রিভিউ আবেদন করলে সেটিও খারিজ হয়ে যায়।
এর আগে বুধবার বিকালে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন কারা ফটকে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তার স্বামী মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার সিদ্ধান্তের জন্য তার নিখোঁজ ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম এর জন্য অপেক্ষা করছেন। তার ছেলে ২২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।