পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে কোন ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের (স্প্রেড) সুদ ব্যবধান ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের বেশি হতে পারবে না। কিন্তু চলতি বছরের জুলাই শেষে ২৩টি ব্যাংকের স্প্রেড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত সীমার বাইরে রয়েছে। এ তালিকায় বেসরকারি খাতের ১৬টি, বিদেশী খাতের ৬টি ও সরকারি খাতের ১টি ব্যাংক রয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশী স্পেড রয়েছে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের। তবে এ মাসে ব্যাংকিং খাতে গড় স্প্রেড দশমিক ১ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে। এর আগে টানা ৩ মাস বৃদ্ধির পর জুনে গড় স্প্রেড দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছিল। এদিকে, জুলাইয়ে ব্যাংকের ভোক্তা খাতে বিতরণ করা ঋণ বাদ দিয়েও স্প্রেডের হিসাব দেখিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রেও স্প্রেড সীমা বেশি রয়েছে ২৩টি ব্যাংকের। এ তালিকায় বেসরকারি খাতের ১৫টি, বিদেশী খাতের ৫টি ও সরকারি খাতের ২টি ব্যাংকের নাম রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, আমানতের অনুপাতে ঋণের না কমায় স্প্রেড প্রত্যাশিতহারে কমছে না। এর জন্য খেলাপিঋণ বৃদ্ধিকে দায়ী করেন তারা।
গত ২১ জুন এক চিঠিতে ১৫ দিনের মধ্যে স্প্রেড ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সে নির্দেশনা উপেক্ষা করেছে এসব ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই শেষে ঋণ ও আমানত উভয় ক্ষেত্রেই সুদহার কমিয়েছে ব্যাংকগুলো। তবে আমানতের চেয়ে ঋণের সুদ তুলনামূলক কম কমেছে। এ সময়ে দেশের ৫৬টি ব্যাংকের ঋণের গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ। যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ সময়ে আমানতের গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আমানতের পাশাপাশি ঋণের সুদ কমায় জুলাইয়ে গড় স্প্রেড দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ ধমমিক ৮৪ শতাংশীয় পয়েন্ট। যা জুনে ছিল ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশীয় পয়েন্ট। এছাড়া মে মাসে এ খাতে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশীয় পয়েন্ট স্প্রেড ছিল। তবে এ সময়ে ব্যাংকিং খাতে গড় স্প্রেড ৫ শতাংশের নীচে অবস্থান করলেও বিদেশী খাতের ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড এখনও ৬ শতাংশীয় পয়েন্টর ওপরে রয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই মাসে বিদেশি খাতের ৬টি ব্যাংকের স্প্রেড নির্ধারিত সীমার বাইরে রয়েছে। এগুলো হলো-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ¯েপ্রড ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশীয় পয়েন্ট, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৬ দশমিক ৩০ শতাংশীয় পয়েন্ট, সিটি ব্যাংক এন এ ৬ দশমিক ২৩ শতাংশীয় পয়েন্ট, উরি ব্যাংক ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশীয় পয়েন্ট, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ৫ দশমিক ২৪ শতাংশীয় পয়েন্ট এবং দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংক করপোরেশন লিমিটেডের (এইচএসবিসি) ¯েপ্রড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশীয় পয়েন্টে। এ সময়ে বেসরকারি খাতের ১৬ টি ও সরকারি খাতের একটি ব্যাংকের স্প্রেডও নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশীয় পয়েন্ট। আর বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের ¯েপ্রড ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশীয় পয়েন্ট, যা একক ব্যাংক হিসেবে ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ৭ দশমিক ২৩ শতাংশীয় পয়েন্ট, ওয়ান ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯১ শতাংশীয় পয়েন্ট, আইএফআইসির ৫ দশমিক ৯২ শতাংশীয় পয়েন্ট, ইষ্টার্ন ব্যাংকের ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশীয় পয়েন্ট, দ্যা সিটি ব্যাংকের ৫ দশমিক ১৫ শতাংশীয় পয়েন্ট, এবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ২১ শতাংশীয় পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংকের ৫ দশমিক ১০ শতাংশীয় পয়েন্ট, উত্তরা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট ও ট্রাষ্ট ব্যাংকের ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশীয় পয়েন্ট স্প্রেড রয়েছে। এছাড়া নতুন প্রজ¤েœর ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টিরও স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে অবস্থান করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।