পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ যেন ঈদে ঘরে ফেরার দৃশ্য। রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে মানুষ; ছুটছে গ্রামের বাড়িতে। কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউ একায় ফিরছেন গ্রামে। কেউ কেউ তিন দিনের ছুটি কাটাতে কক্সবাজার, বান্দরবান, সিলেট, কুয়াকাটাসহ পর্যটন স্পটে ছুটে যাচ্ছেন। শত শত গণপরিবহণ, প্রাইভেট কার, মাইক্রো বাস এক সঙ্গে ঢাকা থেকে বের হয়ে যাচ্ছ্।ে এতে রাজধানীতে প্রবেশ ও বাহিরের পথগুলোতে প্রচন্ড যানজটের সৃস্টি হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে নাকাল মানুষ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দৃশ্য ছিল এমনই। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথ যাত্রাবাড়ি, আবদুল্লাহ পুর, গাবতলীতে দেখা গেছে একই দৃশ। এক সঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষের রাজধানী থেকে বের হওয়ায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গুলিস্তান ফ্লাইওভাবে কাজলা পয়েন্ট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা থমকে দাঁড়িয়ে থাকে যানবাহন।
এমনিতেই সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। সঙ্গে যোগ হয়েছে রোববার ২১ ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সরকারি ছুটি। এক সঙ্গে তিন দিন ছুটি পাওয়ায় মূলত মানুষ ঈদের ছুটির মতো গ্রামের বাড়ি অভিমুখে ছুটতে থাকেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বড় একটি অংশই ছিল ফাঁকা। ছিল না চিরচেনা যানজট, কর্মব্যস্ততা। তবে ভিড় দেখা গেছে বিপণিবিতান এবং বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনের আশপাশের সড়কে। সকালে ঢাকা শহরের প্রবেশমুখগুলোতে ভীড় দেখা গেলেও দুপুরের পর একদমই ফাঁকা দেখা গেছে।
রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে কত মানুষ বাস করেন এবং তিন দিনের ছুটিতে গত বৃহস্পতিবার কত মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন; তার সুস্পষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন তিন দিনের ছুটি কাটাতে।
যাত্রবাড়ি, মৎস্য ভবন, মতিঝিল, আরামবাগ, রাজারবাগ, মালিবাগ, পুরানা পল্টন, রামপুরা, হাতিরঝিল, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গাবতলী, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পথে মানুষের চলাচল কিছুটা কম। এসব এলাকার রাস্তা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে সায়েদাবাদ, মহাখালি, কল্যাণপুর ও গাবতলী এলাকায় মানুষ ও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষ কম থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলা বাসের সংখ্যাও ছিল কম। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মঝিঝিল রুটে চলাচল করা হিমালয় বসের এক চালক বলেন, তিন দিনের ছুটিত কাটাতে মানুষ বাইরে যাচ্ছেন। তাই আজ বাস টার্মিনালের দিকের যাত্রীই বেশি। অন্য এলাকার যাত্রী তেমন নেই। তাই বাসও কম চলছে। কক্সবাজার যাচ্ছেন এমন দুজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দীর্ঘদিন করোনায় ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। তাই একসঙ্গে তিন দিনের চুটি পাওয়ায় কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কক্সবাজার, বান্দরবানসহ পর্যটন কেন্দ্রে দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়। কক্সবাজারে হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু বিকেলে সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যেও বান্দরবানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল-মোটেলে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।