Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘জাতীয় পার্টি কোনো জোট-মহাজোটে নেই’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৬ এএম

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো দূর্বল হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে জাপার সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছে। তার আগে আওয়ামী লীগ দূর্বল ছিল; তবে এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে সুপার পাওয়ার হয়ে গেছে। গতকাল দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি মহাজোটে নেই, জাতীয় পার্টি কোন জোটেই নেই। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের বি-টিম নয়। নির্বাচনের সময় কিছু আসনে সমঝোতা হয়েছে, তবে বেশির ভাগ আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে লড়াই করেছেন। জাতীয় পার্টি নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে মাঠে আছে। নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতির মাঠে এগিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। তিনি আরো বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে আনুষ্ঠানিকভাবেই দেশে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। যারাই সরকার গঠন করে তারা আইনের উর্ধে থেকে দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িত। উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। পেশি শক্তি, কালোটাকা আর প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কলুষিত করছে নির্বাচন ব্যবস্থা। একটি দলের প্রার্থীরাই নির্বাচনে জিতছে তাই রাজনীতির মাঠে অন্য দলগুলোর টিকে থাকাই দুরুহ হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজনীতি করছে জাতীয় পার্টি। কোন নির্যাতনে মাথা নত করবেনা জাতীয় পার্টি।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পালিত কিছু বুদ্ধিজীবী জাতীয় পার্টি ও এরশাদকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেননি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তার বৈধভাবেই তার হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। তিন জোটের রুপরেখা অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বৈধভাবেই রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এরশাদ। কিন্তু তৎকালীন সরকার তিন জোটের রুপরেখার সকল অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এরশাদকে জেলখানায় বন্দি করা হয়। কিন্তু তিন জোটের রুপরেখা অনুয়ায়ী সকল দলগুলো রেডিও টিভিতে বক্তৃতা দিয়েছে কিন্তু জাতীয় পার্টিকে বঞ্চিত করা হয়। মিছিল-মিটিং করতে দেয়া হয়নি, নির্বাচনে এজেন্ট দিতে পারেনি জাতীয় পার্টি। ঠুনকো অভিযোগ তুলে পল্লীবন্ধুকে নির্বাচন করতে দিতে চায়নি। কিন্তু গণমানুষের কঠোর আন্দোলনের মুখে পল্লীবন্ধুকে নির্বাচন করতে দিতে বাধ্য হয়েছিলো।
এসময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো চেয়ারম্যান ও মহিলা পার্টির সভাপতি এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষক পার্টির সভাপতি সাহিদুর রহমান টেপা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের, উপদেষ্টা ও মহিলা পার্টির সদস্য সচিব হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ