Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাবেক ডিজি মোস্তফা সারোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৬ এএম

পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় পরিবার পরিকল্পনার সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) কাজী মোস্তফা সারোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক তাকে টানা ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের জন্য ওষুধ-সরঞ্জাম কেনার নামে পরস্পর যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল মামলায়।
এর আগে গত বুধবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের তৎকালিন মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার অন্যতম আসামি আজিমপুর মাতৃসদনের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইশরাত জাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। প্রসঙ্গত: চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। এ মামলায় তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। মামলায় ১৭ জন ডাক্তার ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের ৮ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের তত্ত¡াবধায়ক ইশরাত জাহানকে চার মামলাতেই আসামি করা হয়। (শিশু) ও বাজারদর যাচাই কমিটির সদস্য মো. আমীর হোসাইন, সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা ও বাজারদর যাচাই কমিটির সদস্য মোছা. রইছা খাতুন ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
আরেক মামলায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক কাজী গোলাম আহসান, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) নাদিরা আফরোজ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. নাছের উদ্দিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা বিলকিস আক্তার, মেডিক্যাল অফিসার আলেয়া ফেরদৌসী।
এছাড়া এসব মামলায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মনার্ক এস্টাবলিশমেন্টের মালিক মো. ফাতে নূর ইসলাম, মেসার্স নাফিসা বিজনেস কর্ণারের মালিক শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), সান্ত¦না ট্রেডার্সের মালিক নিজামুর রহমান চৌধুরী। ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত চার অর্থবছরের কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কার্যাদেশ অনুযায়ী ঠিকাদারকে ওষুধ সরবরাহের বিপরীতে ৩২ লাখ ৯১ হাজার ৭২০ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়। অথচ খুচরা মূল্য ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মূল্য অনুযায়ী ওই একই ওষুধের সর্বোচ্চ মূল্য ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ টাকা। বাকি টাকা অতিরিক্ত দেয়া হয়েছে। এভাবে চার অর্থবছরে একই প্রক্রিয়ায় ওই টাকা আত্মসাৎ হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজি-মোস্তফা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ