পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে প্রতিবেদনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জুলকারনাইন সামি ও তাসনিম খলিলসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে এ মামলা করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার আদেশ পরে দেবেন। মামলার আসামিরা হলেন- আল জাজিরা টেলিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তেফা স্যোউয়াগ, শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভিড বার্গম্যান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনামহানি করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছে। তারা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া মিথ্যা তথ্যসম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী একটি প্রতিবেদন প্রচার করে এবং প্রতিবেদনটি ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, যা পরদিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
আসামিরা প্রতিবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে এবং তথ্য-উপাত্ত বা দলিলাদি উপস্থাপন না করেই ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু কিছু ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি ও সাক্ষাৎকারের ছবি ব্যবহার করে, কণ্ঠস্বর সম্পাদনা করে একটি কাল্পনিক ভুয়া, মিথ্যা ও সাজানো তথ্যচিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আল জাজিরা টেলিভিশনসহ ইউটিউবের মাধ্যমে পুরো বিশ্বে অপপ্রচার করেছে, যা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদারহানি ঘটিয়েছে। এ কর্মকান্ডের মাধ্যমে আসামিরা বাংলাদেশের দন্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়। এদিকে আল জাজিরায় বাংলাদেশকে নিয়ে করা প্রতিবেদন ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দ্রুত সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।