পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা উদযাপন হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও সংস্কৃতি মতে, এ দিনটিতে দেবী সরস্বতী জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দিনটিকে বলা হয় ‘বসন্ত পঞ্চমী’। সরস্বতী জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী। তার জন্য হিন্দু ভক্ত, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরগুলোতে সরস্বতী পূজার আয়োজন করে থাকে।
প্রতি বছরের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পূজার আয়োজন থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসাহ উদ্দীপনার ঘাটতি ছিলো। তবে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দিরগুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরাধনা চলেছে। সকাল ৮টা থেকে পূজা শুরু হয়। সন্ধ্যায় ছিলো আরুতি অনুষ্ঠান। পূজা ছাড়াও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, হাতেখড়ি, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি ও আলোকসজ্জার আয়োজন ছিলো। ভক্ত ও দর্শনার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে পূজা দেখেছেন। তারা অঞ্জলি দিয়েছেন ও প্রসাদ গ্রহণ করেছেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকায় এবার আয়োজনও ছিলো কম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে পূজা উপলক্ষে বিশাল উৎসবের আয়োজন হয়নি। অনেক ভক্ত ও দর্শনার্থীরা সেখানে গিয়ে হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। সেখানে সীমিত আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় অবস্থানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। এবার শুধুমাত্র উপসনালয়ে বিদ্যার দেবীর আরাধানার ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জগন্নাথ হলের পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
মানিকমিয়া এভিনিউস্থ রাজধানী স্কুল মাঠে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে পূজার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় সেখানে পূজার অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় তিনি হিন্দু স¤প্রদায়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ধর্ম, বর্ণ ও স¤প্রদায় নির্বিশেষে পূজা উৎসবে সকলের অংশগ্রহণ দেশের অসা¤প্রদায়িক চেতনায় ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এই ঐতিহ্য আরো সুদৃঢ় করতে হবে।
এরআগে সকালে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। দুপুরে সেখানে আসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আয়োজকদের পক্ষ থেকে ওই অতিথিদের স্বাগত জানান সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, রনজিত কুমার রায় ও পংকজ দেবনাথসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা সেই জায়গাতেই যেতে পেরেছি। আমরা অনেক ব্যর্থতা দেখেছি, অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে দেখেছি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একত্রিত হয়েছে। সবাই একত্রিত হতে পেরেছি বলেই দেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সকল ধর্মের মানুষ কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই উৎসবের আয়োজন করতে পারছে।
এদিকে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়। এছাড়া সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, শাখারী বাজার, তাঁতি বাজার, বনানী ও রমনা কালী মন্দিরসহ মন্ডপে মন্ডপে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে নানা আয়োজন ছিলো। এরআগে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।