পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সালাম না দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মুগদার মান্ডা এলাকায় হাসান মিয়াকে (১৬) খুন করেছে কিশোর গ্যাং ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত ওই গ্যাংয়ের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম। রাজধানীতে গড়ে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০টি হত্যার ঘটনা ঘটে। এমনই ফেব্রুয়ারি মাসেও দুইটি খুনের ঘটনা ঘটেছিলো। একটি চলতি মাসের ১০ তারিখে আরেকটি ১২ তারিখে। গতকাল সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
গত শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর মুগদার মান্ডা এলাকায় কিশোর গ্যাং ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা হাসান নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় মুগদা থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। নিহত হাসান একটি প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। পরিবারের সঙ্গে মান্ডার সাবেদ আলী বাসায় ভাড়া থাকতো। ঘটনার পর গত রোববার মুগদাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ব্যান্ডেজ গ্রুপের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, মূলত সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্ধে ব্যান্ডেজ গ্রুপের সদস্যরা হাসানকে খুন করেছে। হাসান তাদের সালাম দেয়নি বলে ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল তানভীর। তার সঙ্গে আরও সাত-আটজন জড়িত। মূলহোতা তানভীরসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের নিম্নবিত্ত আয়ের অভিবাবকদের সন্তানরা এসব কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাং বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছে। ছোট ভাই বড় ভাইকে সালাম দিচ্ছে না, সিগারেট খাচ্ছে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসব খুনের ঘটনাগুলো ঘটে। এসব বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। সেসঙ্গে এলাকার সচেতন নাগরিকদের খেয়াল রাখতে হবে।
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের যারা সেল্টার (আশ্রয়-প্রশ্রয়) দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ে যদি রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আমরা এরইমধ্যে কমিয়ে এনেছি।
তিনি বলেন, কদমতলীর পূর্ব জুরাইনে গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি হত্যাকান্ড হয়েছিলো। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মো. জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। একই ঘটনায় মজিবর রহমান ওরফে মোহন নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পর মামলা কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. অ. আহাদের নির্দেশনায় একটি টিম গত রোববার ঢাকার আশ-পাশের এলাকা থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাত আসামিকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় এর আগেও হত্যা, মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তারা চিহ্নিত অপরাধী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।