পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা ঃ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসদরের সুচক্রদন্ডী মমতা আবাসিকের সন্নিকটে অবস্থিত এনজিও সংস্থা নওজোয়ানের বিরুদ্ধে এফডিআরের নামে গ্রাহকদের ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা এনজিও নওজোয়ান এর চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান নির্বাহী পরিচালকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগকারী ৯ এফডিআর গ্রাহকের মধ্যে ৩ জন মহিলা।
অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা হলেনÑ এনজিও নওজোয়ানের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী পটিয়া দক্ষিণ ভূর্ষি ইউপির ডেঙ্গাপাড়া এলাকার হাজী আলী আব্বাস চৌধুরীর ছেলে মো. ইমাম হোসেন (৪৮), পটিয়ার অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কিশোর কুমার দে (৪০) ও হাবিলাশদ্বীপ এলাকার মৃত টুলু মিত্রের ছেলে বিক্রম জিৎ মিত্র (৩৯)।
অভিযোগকারীরা হলেন- পটিয়া পৌরসভার ৩নং নম্বর ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজল করিমের স্ত্রী নুরজাহান করিম (৪৫), হুলাইন আহম্মদ নবীর ছেলে মো. মাহবুল আলম (৩৯), কেলিশহর মৃত হাজী অলি আহম্মদের ছেলে মো. শাহজাহান (৪২), সুচক্রীদন্ডী শীতল চন্দ্র দত্তের ছেলে দেবপ্রসাদ দত্ত (৪৯), মৌলভী হাট মৃত আবু আহম্মদের ছেলে মো. মামুনুর রশিদ (৩৬), কেলিশহর মো. কামাল উদ্দিনের মেয়ে ফেরদৌস বেগম (৪৫), কেছিয়াপাড়া স্বপন দাশ চৌধুরীর মেয়ে সুচরিতা দাশ চৌধুরী (৪২), মনসা মৃত এখলাশ মিয়ার ছেলে মো. মহিউদ্দিন(৩০) ও পাঁচুরিয়া মৃত যতিশ চন্দ্র বড়–য়ার ছেলে সত্যায়ন বড়–য়া (৪১)।
অভিযোগে এফডিআর গ্রাহকরা বলেন, এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কর্মকা-ের পাশাপাশি সহজ সরল গ্রামবাসীকে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা এককালীন জমা রাখার চুক্তি করেন। অথচ মাসিক লভ্যাংশ দেয়া তো দূরের কথা গত এক বছর ধরে এফডিআরের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের সাথে বেশ কয়েকবার প্রধান নির্বাহী ইমাম হোসেন বৈঠক করলেও আজ-কাল করে কালক্ষেপণের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেয়নি। গ্রাহক ফেরদৌস বেগম বলেন, আমার বাড়ি ভিটি নেই ভাড়া বাসায় থাকি। এক ছেলে বিদেশে থাকে ঘর বাঁধার জন্য জায়গা ক্রয় করতে ছেলের পাঠানো কাছে ৪ লাখ টাকা নওজোয়ানের জমা রেখে ছিলাম। এখন আমি এ টাকার কারণে নিঃস্ব। পত্রিকার হকার মামুনুর রশিদ জানান, আমি অনেক কষ্ট করে বাড়তি টাকা পাওয়ার আশায় নওজোয়ানে দু’লাখ টাকা জমা রেখেছি। কিন্তু এ টাকা না দেয়ায় আমি এখন মহাসংকটে আছি।
গ্রাহকেরা বলেন, থানায় অভিযোগ করার পর প্রধান নির্বাহী গ্রাহকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
এবিষয়ে এনজিও নওজোয়ানের পটিয়া চক্রশালা এলাকার ব্যবস্থাপক কিশোর কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু প্রধান নির্বাহী জানেন বলে জানায়।
এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাহী মো. ইমাম হোসেন অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয় জানিয়ে বলেন, তারা যে পরিমাণ টাকা আমাদের কাছে জমা রেখেছিল তার চাইতে বেশী নিয়ে গেছে। ফলে এখন তাদের কয়েকজন লভ্যাংশ ব্যতীত আসল টাকা দিয়ে দিতে বলছে।
আমরাও চেষ্টায় আছি দ্রুত টাকাটা পরিশোধ করতে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, এখন অভিযোগটি তদন্ত করছেন এসআই জাকির। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।