পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশি গৃহকর্মী আবিরন বেগম হত্যা মামলায় গৃহকত্রী আয়শা আল জিজানীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন সউদী আরবের আদালত। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি শ্রমিক খুনের বিচার হলো দেশটিতে।
রিয়াদের ক্রিমিনাল কোর্ট স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সউদী গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি গৃহকর্তার কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশি গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি ওই গৃহকর্ত্রীর নাম আয়েশা আল জিজানী। সুনির্দিষ্টভাবে ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার কারণে তার বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়।
আদালত রায়ে গৃহকর্তা বাসেম সালেমের বিরুদ্ধে আলামত ধ্বংসের অভিযোগ, আবিরন বেগমকে নিজ বাসার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় কাজে পাঠানো ও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় পৃথক পৃথক অভিযোগে মোট ৩ বছর ২ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন ও ৫০ হাজার সউদী রিয়াল জরিমানা করেন।
আদালত অন্য আসামি সউদী দম্পতির কিশোর পুত্র ওয়ালিদ বাসেম সালেমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার প্রমাণ পাননি বলে জানান। তবে আবিরন বেগমকে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা করায় তাকে সাত মাসের কিশোর সংশোধনাগারে থাকার আদেশ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ রয়েছে বলে আদালত জানান।
এর আগে আবিরনের মৃত্যুতে আদালত দুঃখ প্রকাশ করেন। হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করে সউদী শরিয়া আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলেও আদালত উল্লেখ করেছেন।
২০১৯ সালের ২৪ মার্চ রিয়াদের আজিজিয়ায় আবিরন বেগম সউদী গৃহকর্ত্রীর নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন, যা পরে হত্যাকাণ্ড বলে ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়। খুলনা পাইকগাছার আবিরন বেগম কাজের সন্ধানে সউদী আরব গিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।