পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পোশাক খাত স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষ কর্মরত আছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী। এটি নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করছে।
গতকাল বুধবার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে ‘১৭তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সেমস্ গ্লোবাল আয়োজিত এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে ২৩টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ প্রথম সভাপতি আসলাম সানি প্রমুখ।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, তাজরীন গার্মেন্টস ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শ্রমিক নিরাপত্তা ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হয়।
আমরা ইতোমধ্যে এ সুবিধা ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সব শর্তাবলি পূরণ করেছি। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পোশাক খাত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ রফতানি খাত হিসেবে উন্নীত হয়েছে। সরকারের উপযুক্ত নীতি, সহায়তা ও উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টায় সব বাধা পেরিয়ে এ খাত এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শফিউল আলম মহিউদ্দিন বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সন্ত্রাসবাদ এখন একটি বৈশ্বিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ভাগ্যবান যে, গুলশান হামলার মতো ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তৈরী পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রফতানি আয় ৬০ বিলিয়ন করার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৫০ বিলিয়ন আসবে তৈরী পোশাক খাত থেকে।
তবে পোশাক কারখানাগুলোকে অবশ্যই ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ মানসম্পন্ন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে ইউরোপিয়ান ক্রেতা জোট অ্যাকর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কারখানাগুলোর প্রায় ৬৫ শতাংশ এবং আমেরিকান ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কারখানাগুলোর ৬০ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় বিনিয়োগ হয়েছে তিন বিলিয়ন ডলার।
পাশাপাশি আইএলওর নির্দেশনা ও ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লান অনুযায়ী কারখানা পরিদর্শন ও সংস্কার কাজ চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।