পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রায় পড়ে শোনানো হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার : কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি মীর কাসেম আলীকে উচ্চ আদালত থেকে খারিজ হওয়া রিভিউ আবেদনের আদেশ গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় পড়ে শোনানো হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য চিন্তা করে জানাবেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। আমরা তাকে রিজনেবল সময় দেব।’
গতকাল বুধবার বিকালে কারা অধিদফতরে সাংবাদিকদের অনানুষ্ঠানিক এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
আইজি প্রিজন বলেন, ‘আমরা তাকে রিজনেবল সময় দেব। সাধারণ আসামিদের ক্ষেত্রে রিজনেবল সময় সাত দিন। তবে আইসিটি আইনে এরকম কোনো নিয়ম নেই। তবে তিনি সর্বোচ্চ সাত দিনের বেশি সময় পাবেন না।’
প্রস্তুতির বিষয়ে আইজি প্রিজন বলেন, ‘কারাগারের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালনে কারা কর্তৃপক্ষ সব সময় প্রস্তত থাকে। তবে কোন কারাগারটিকে তার ফাঁসির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।’
তিনি বলেন, এর আগের রাতে রিভিউর আদেশ পাওয়ার পরপরই আমরা তা কাশিমপুর কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। এরপর তার পরিবার দেখাও করেছে।’
এটা তার পরিবারের শেষ দেখা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত কোনো রায় হলে এমনিতেই স্বজনরা দেখা করার সুযোগ পান। এটাও তাই। তারা আরও সুযোগ পাবেন।’
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না সেজন্য সময় চেয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী।
রাজধানীর কারা অধিদফতরে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন এ তথ্য জানান।
ইফতেখার উদ্দীন বলেন, ‘মীর কাসেম আলী প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানিয়েছেন, আমাকে একটু সময় দিন।’ তিনি বলেন, মানবতার দিক চিন্তা করে মীর কাসেমকে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে ভাবার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া হবে। তবে তিনি সর্বোচ্চ ৭ দিন সময় পাবেন।
গাজীপুরে কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে স্বজনরা দেখা করেছেন বলে জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, গতকাল সকালে মীর কাসেমের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে চেয়েছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। রায় কার্যকরের আগে আরেকবার দেখা করতে দেওয়া হতে পারে। এর আগেও অন্যান্য ফাঁসির রায় কার্যকর করার আগেও আসামির সঙ্গে তাদের স্বজনদের দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
কারা মহাপরিদর্শক আরও বলেন, ফাঁসির রায় কার্যকর হলে তা কোথায় হবে, সেটি সার্বিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।