Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ কঠিন বৈরী সময়ে বিএনপি

প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আফজাল বারী : আজ বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দেশী-বিদেশী চক্রান্ত, অব্যাহত সর্র্বমুখী চাপ, অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলার কারণে সাংগঠনিক দুর্বলতার টানাপোড়েনে প্রতিষ্ঠাকালের ৩৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বৈরী সময় অতিক্রম করছে দলটি।
প্রতিষ্ঠাকাল উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক পৃথক বাণীতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইতিহাসের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও সংগঠনের শেকড় আরো শক্তিশালী হয়েছে; জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে বহু বহু গুণে- এমনটি মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজনীতি নিয়ে দেশের মানুষ যখন বিভ্রান্ত, তখন ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নতুন রাজনৈতিক দর্শন হাজির করেন। ১৯ দফা কর্মসূচি এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ দর্শন নিয়ে আবির্ভূত হন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধের এ দর্শনে বিমুগ্ধ হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের অনুসারীরা এক মঞ্চে হাজির হন। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার পর ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। দলের ৩৮ বছরের ইতিহাসে ৩৪ বছর ধরে দলের একটানা সাংগঠনিক নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।
৪ বার ক্ষমতায় ও দুইবার বিরোধী দলে থাকা এই দলটি বিভিন্ন সময় নানা বাধা-বিপত্তির মুখেও পড়েছে। তবে সংগঠনের বিস্তৃতি থেমে থাকেনি, বেড়েছে জনসমর্থনও। সরকারের দমন-পীড়নে নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলার হিড়িক ও গ্রেফতার, নিখোঁজ বা গুম ঘটনায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। গত ১৯ মার্চ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সাড়ে ৪ মাস পর গত ৬ আগস্ট ঘোষণা করা হয়েছে ১৯ সদস্যের নতুন স্থায়ী কমিটি (২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়নি), ৭৩ সদস্যের উপদেষ্টা কাউন্সিল এবং ৫০২ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে সকাল ১০টায় দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নতুন কমিটি নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাবেন। দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিকাল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
রমনার বটমূলের সেই বিএনপি
ঐতিহাসিকভাবে পরিচিত রমনা বটমূলেই গোড়াপত্তন হয়েছিলো বিএনপির। দলের প্রতিষ্ঠার পটভূমি বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত ইনকিলাবকে বলেন, ১৯৭৮ সালে আন্তর্জাতিক শিশু দিবসের অনুষ্ঠান শেষে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশু-কিশোরদের নিয়ে পদযাত্রা করে রমনা গ্রীনে বটগাছের নিচে বসে ঠিক করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠার ভেন্যু হবে রমনা বটমূলে। ওই পদযাত্রায় আমিও ছিলাম। বটমূলে আমাকে ডেকে প্রেসিডেন্ট বললেন, ব্যারিস্টার হাসনাত, যে দলটি আমরা ১ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করতে যাচ্ছি তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে এই বটমূলে। এটাই ভেন্যু। সেভাবে এখন থেকে আপনি প্রস্তুতি নিন।
কেন রমনা বটমূলকে স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিলো- তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তথা বাঙ্গালিদের প্রাণের অনুষ্ঠান ১ বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয় রমনা পার্কের এই বটমূলেই। যেহেতু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে বিএনপির আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে, সেজন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রমনার ঐতিহাসিক বটমূলকে বেছে নিয়েছিলেন। কারণ, তিনি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের রাজনীতি করতে বিএনপি গঠন করেছিলেন।
৩৯ বছরে পা দেওয়া দলটির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ঢাকার প্রথম মেয়র ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত, যিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তৃতীয় জাতীয় সংসদের চীফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিএনপি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন হচ্ছে- ৩৮ বছরের এই দলটি বর্তমানে সবচেয়ে বৈরী সময় অতিক্রান্ত করছে। ব্যারিস্টার হাসনাত বর্তমানে রাজনীতি ছেড়ে আইন পেশায় নিয়োজিত।
বিএনপি প্রতিষ্ঠার আগে ১৯৭৭ সালে জুন মাসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগো দল) গঠন করেন। ওই দলের আহবায়ক হয়েছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। এরপর জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করে জিয়াউর রহমান ওই বছরে প্রত্যক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। জাগো দল, ন্যাপ (মশিউর রহমান যাদু মিয়া), ইউনাটেড পিপলস পার্টি (ক্যাপ্টেন আব্দুুল হালিম-কর্নেল আকরর হোসেন), লেবার পার্টি (মতিন) ও মুসলিম লীগ (শাহ আজিজুর রহমান) নিয়ে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়, যাতে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, শাহ আজিজুর রহমান, অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, এস এ বারী এটি, ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুুল হালিম, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল (অব.) মাজেদ-উল হক, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হক, ব্যাস্টিার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত, এম সাইফুর রহমান, মাওলানা আব্দুল মতিন, কর্নেল (অব.) আসম মোস্তাফিজুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন, আতাউদ্দিন খান প্রমুখ নেতা ছিলেন।
১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়। দলের ১১ সদস্যের স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। মনোনয়ন দেয়া হয় দলের মহাসচিব হিসেবে অধ্যাপক ডা. বি. চৌধুরীকে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের পরও সারাদেশেই বিএনপিকে উপড়ে ফেলতে পারেনি ক্ষমতাসীন শাসকদল। মানুষের মণিকোঠা থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম মুছে ফলতে পারেনি- এটাই বাস্তবতা। মাটি ও মানুষের রাজনীতিকে সামনে নিয়ে কালের পরিক্রমায় বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান।
১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের পটভূমিতে ৭ নভেম্বর ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথমে তিনি নিজের ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন করেন যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হিসেবে রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে।
বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও ১/১১-এর সেনা সমর্থিত সরকারের শাসনামল থেকে একটানা ৯ বছর দলটি ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। গত বছরের ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম নির্বাচন বর্জনের আন্দোলনে দলটি সরকারের চরম দমন-নির্যাতনের মুখে পড়ে। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয় প্রায় ২৫ হাজারের অধিক নেতা-কর্মী। ফলে দলটির সাংগঠনিক শক্তিতে আঘাত পড়েছে।
এ ব্যাপারে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইনকিলাবকে বলেন, দলের চেয়ারম্যান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে এমন কোনো নেতা-নেত্রী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। একেক জনের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা একটা, দুইটা নয়, ৫০/৬০ থেকে শুরু করে ১৫০/২০০। ফলে তারা হয় কারাগারে অথবা গ্রাম ছাড়া কিংবা এলাকা ছাড়া, হুলিয়া নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরকম একটা দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও দলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন, কাজও করছেন।
আমি মনে করি, সরকারের চতুর্মুখী দমনপীড়নের মধ্যেও বিএনপির শেকড় আরো শক্তিশালী হয়েছে। জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে বহু বহুগুণে।
সংগঠনের বর্তমান অবস্থা
সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাংগঠনিক কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরেই। পুরনো কমিটির দায়িত্বে চলছে সংগঠন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে সাংগঠনিক ৭৫টি জেলা কমিটির প্রায় জেলা কমিটিই মেয়াদ তামাদি হয়ে গেছে।
সম্প্রতি দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের হওয়ার পর সারাদেশে জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা কমিটির পুনর্গঠনের কাজ হাতে নিয়েছে বিএনপি। দলের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানকে-এর দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নতুন কমিটি নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা অসন্তোষও রয়েছে। সম্মানজনক পদ না পাওয়ায় কমিটির গঠনের ৪ ঘণ্টার মাথায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদ থেকে মোসাদ্দেক আলী ফালু, সহ-প্রচার সম্পাদক পদ থেকে শামীমুর রহমান শামীমসহ কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৩দিন আগে সদ্যপ্রাপ্ত পদ (স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক) থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন নব্বইয়ে ছাত্রনেতাদের অন্যতম ওই সময় এরশাদের জারি করা কারফিউ ভাঙ্গা শিরিন সুলতানা। পদত্যাগ করেছেন নতুন কমিটির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এই সরকারের বর্বরতার শিকার হওয়া আরেক নারী নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া।
দলের ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবগুলো পুরনো কমিটি নিয়ে কাজ করছে। এরমধ্যে কৃষক দলের কমিটি ১৯ বছরের পুরনো। জাতীয়তাবাদী যুব দলে ৮ বছর, স্বেচ্ছাসেবক দল ৭ বছর, মহিলা দল ৫ বছর, মৎস্যজীবী দল ৬ বছর, উলামা দল ১২ বছর, ছাত্রদল ৩ বছরের পুরনো। সব কমিটি তামাদি হয়ে আছে।
চেয়ারপার্সন ও মহাসচিবের বাণী
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আজকের দিনটি আমাদের সবার জন্য আনন্দ ও প্রেরণার। ১৯৭৮ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাকশালী একদলীয় দুঃশাসনের জের ধরে সে সময়ে দেশে বিরাজমান চরম জাতীয় সংকটের কারণে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল তা পূরণ করতে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি বিগত ৩৮ বছরে বার বার সকলের অংশগ্রহণমূলক জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে এবং দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে কাজ করে গেছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের এই প্রিয় দল অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। বাংলাদেশের নিজস্ব স্বকীয়তা, স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপি তার ভূমিকা পালন করে চলেছে।
বিএনপি প্রধান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশসহ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিএনপির বলিষ্ঠ ভূমিকা জনগণ কর্তৃক সমাদৃত হয়েছে। এই কারণেই বিএনপি দেশবাসীর কাছে এখন সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণœ রেখে দেশ ও জনগণের সেবায় বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
অপর এক বার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ কঠিন বৈরী সময়ে বিএনপি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ