পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার (১৪) হত্যাকারী বৈশাখী টেইলার্স-এর কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান নীলফামারীতে আটক হয়েছে। ওবায়দুলকে ধরতে মঙ্গলবার রাতব্যাপী নীলফামারীর ডোমারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভোর রাতে তাকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, ঘাতক ওবাদুল নীলফামারীর ডোমারে অবস্থান করছেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ রাজিউর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকার রমনা থানার উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেনসহ একদল পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। খুনি ওবায়দুরকে ধরতে রাত আটটার দিকে ডোমার ব্র্যাক অফিসে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘাতক ওবায়দুল পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ডোমার ব্র্যাক অফিসের অফিস সহকারী সাহাদাত হোসেন ও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার শাখার ব্র্যাকের অফিস সহকারী ও খুনি ওবায়দুলের দুলাভাইয়ের ছোটভাই খুশবুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জানা যায়, ঘাতক ওবায়দুলের বাড়ী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মিরাটঙ্গী ইউনিয়নে। তার বাবা মৃতঃ আব্দুস সামাদ। ওবায়দুল বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় তার বোনের বাড়ীতে আসে এবং কিছু সময় সেখানে অবস্থান করে সেখান থেকে সে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বড় বোন খাদিজা ও দুলাভাই খাদেমুলকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখে। মঙ্গলবার রাতে ওবায়দুল তার দুলাভাইয়ের ছোটভাই খুশবুর খোঁজে ডোমারে আসে। ডোমারে খুশবুকে না পেয়ে ওবায়দুল তার মোবাইলে কথা বলে। খুশবু তাকে আটক করার জন্য কৌশলের আশ্রয় নেয়। সে ডোমার ব্র্যাক অফিসের অফিস সহকারী সাহাদাতকে ফোনে জানায় ওবায়দুলকে চা খাওয়ানোর জন্য এবং যাতে সে তাকে সঙ্গ দেয়। এদিকে খুশবু তাকে ধরে দেয়ার জন্য বীরগঞ্জ থানায় এবং তার সাথে যোগাযোগ করে। খবর পেয়ে ডোমার থানা পুলিশ রাত আটটার দিকে ব্র্যাক কার্যালয়ে উপস্থিত হলে ওবায়দুল টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওবায়দুলকে না পেয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুশবু ও সাহাদাতকে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে ওবায়দুলকে ধরতে পুলিশের রাতব্যাপী বিশেষ অভিযান শেষে ওবায়দুলকে না পেয়ে অভিযান শেষ করা হয়। এদিকে ভোর রাতে সুযোগ বুঝে আত্মগোপনে থেকে বেরিয়ে ওবায়দুল ডোমার হতে নীলফামারী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে নীলফামারী-ডোমার সড়কের খানাবাড়ী এলাকা হতে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ রাজিউর রহমান ওবায়দুলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য যে, গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর উইলস ফাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজের কাছে রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ আগস্ট রবিবার সে মারা যায়। রিশাকে ছুরিকাঘাত করার পরদিন তার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রিশার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।