পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) মুহসীন হল সংলগ্ন বসুনিয়া তোরণে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার অবদান ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। গণতন্ত্রের দাবিতে স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে নেতৃত্ব্দানকারী রাউফুন বসুনিয়া এরশাদের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার তাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। লেখক ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষা ও গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে রাউফুন বসুনিয়া শহীদ হয়েছিলেন। তার এ আত্মত্যাগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করে এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
আশির দশকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন ঢাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রাউফুন বসুনিয়া। ১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে নেতৃত্বদানকালে ঢাবি সংলগ্ন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তিনি। তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুহসিন হল সংলগ্ন স্থানে বসুনিয়ার একটি আবক্ষ প্রতিকৃতি ও তোরণ স্থাপন করা হয়, যা ‘বসুনিয়া তোরণ’ নামেই পরিচিত। তৎকালীন ঢাবি ভিসি প্রফেসর আবদুল মান্নান তোরণটি উদ্বোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।