Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২২ সালে উন্মুক্ত হবে কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ -রেলমন্ত্রী

রেলে পাল্টে যাবে কক্সবাজারের অর্থনৈতিক চিত্র

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:৫৯ পিএম

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, কক্সবাজার - দোহাজারী রেল চলাচল শুরু হলে পাল্টে যাবে কক্সবাজারের অর্থনৈতিক চিত্র। তিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেলকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। একটি অকেজো ও পরিত্যক্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিল রেল মন্ত্রণালয়কে। প্রধানমন্ত্রী গভীরভাবে অনুধাবন করেছেন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হলে সেদেশ অনেক পিছিয়ে থাকে। তাই তিনি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় এই খাতকে সচল করেছেন। রেল মন্ত্রণায়লকে আলাদা করেছেন।

ইতোমধ্যে দেশের সকল জেলায় রেল পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন। তারমধ্যে তিনি কক্সবাজারকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এখানে রেলপথ নির্মাণের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ শেষ হলেই আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে দোহাজারী—রামু—গুনদুম রেলপথ।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলা প্রশাসকের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে ‘দোহাজারী—রামু—গুংধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিগ্রস্তদের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ২৮ জন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়। তারমধ্যে চকরিয়া পালাকাটা—মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার ২৭ জন ও সদরের ঝিলংজা মৌজার ১ জন চেক গ্রহণ করেন।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, জাতীয় স্বার্থে কক্সবাজারে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকে সরকারকে জমি দিচ্ছেন। প্রধানন্ত্রী দেশের স্বার্থে এই জমি নিচ্ছেন। তার বদৌলতে দিচ্ছে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ। এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল রেল নিয়ে। অনেকে কথা দিয়ে কথা রাখেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনে মানুষের জন্য রেলপথ নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। মনে রাখতে হবে এটি শুধু কক্সবাজারের না পুরো দেশের সম্পদ। আর রেল আসলে আন্তর্জাতিকভাবে আরও সমাদৃত হবে কক্সবাজার। এতে পাল্টে যাবে অর্থনৈতিক চিত্র। রেলকে কেন্দ্র করে স্বাবলম্বী হবে মানুষ।

মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ভবিষ্যতে সিঙ্গেল লাইন থেকে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। এসময় আর অধিগ্রহণ না হয় মতো কাজ করা হচ্ছে। উন্নয়নের জন্য রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ রাজনীতিবিদদের ডিঙিয়ে কোন উন্নয়ন সম্ভব না। তাই সবার ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণমূলক এই প্রকল্প অচিরেই আলোর মুখ দেখবে- ইনশাল্লাহ।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণায়ল সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, জাফর আলম বিএ এমপি, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা, রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আমিন আল পারভেজ।
প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘দোহাজারী—রামু—ঘুংধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্পের অধিগ্রহণ প্রায় ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর ৩৫ শতাংশ বাকি আছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেলমন্ত্রী

৩১ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ