পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরম বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একের পর এক বাংলাদেশ-বিদ্বেষী বক্তব্য ব্যাপক ক্ষোভ জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশিদের মাঝে। ‘বিজেপি রাজ্য ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে একটা পাখিও ঢুকতে পারবে না’ সর্বশেষ তার এমন বক্তব্যে প্রতিবাদের ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিভিন্ন ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার এই অভব্য কথাবার্তার যথোপযুক্ত জবাব দিয়েছেন দেশপ্রেমী নেটিজেনরা। এসব জবাবের মাধ্যমে তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশিরা কোনও প্রতিবেশী দেশের করুণায় চলে না বরং তারা নানা দিক দিয়ে প্রতিবেশীদের প্রতি অনুগ্রহশীল।
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের নিয়ে অমিত শাহের এমন তাচ্ছিল্যপূর্ণ বক্তব্য এই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি বহুবার এধরনের তুচ্ছতাচ্ছিল্যপূর্ণ কথাবার্তা বলে ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়েন। বিতর্কের মুখে ফেলেন দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে। তিনি কখনো বলেছেন, ‘অনুপ্রবেশকারী বাঙ্গালীদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে।’ আবার কখনো বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বাঙালিরা হচ্ছে উই পোকা’।
সাম্প্রদায়িক কট্টোর হিন্দুত্ববাদি দল বিজেপির নেতা ও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সফরে এসে ওই হুংকার ছাড়েন।
তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসুবকে মুরতুজা চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে ভারতে বাংলাদেশীদের যাওয়ার প্রয়োজন নাই বরং ভারতীয়রা যেন বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করেন। ভারতীয়রা বাংলাদেশে ঢুকে কোটি কোটি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে। অমিত শাহকে বলতে চাই আপনারা ট্রানজিটের নামে করিডোর ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রায় বিনা শুল্কে এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যে পণ্য আনা-নেওয়া করছেন তাও বন্ধ করে দেন। দেখি আপনাদের বাহাদুরি কোথায় যায়।’’
রুবেল চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘জঙ্গি.... জানেনা যে বাংলাদেশের পাখি অন্য দেশে যায়না। বরং শীতকালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে লাখলাখ পাখি বাংলাদেশে ঢুকে ও আতিথেয়তা পায়। বাংলাদেশ ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগত ভাবেই অতিথিপরায়ণ।’’
আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, ‘‘ভারতকে বাংলাদেশ বন্ধ পরিচয় দেয়, কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে বারবার অপমান করছে, আর বিশেষ দলের লোক ভারতকে তার পরও ভগমান মানে। কেন না তাদের দিয়ে ওরা টাকা ইনকাম করার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বলে। কিন্তু স্বাধীনতার কথা বলা দলটা স্বাধীনতা বিক্রি করছে তার লাভের জন্য প্রতিটি জায়গায়..।’’
অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে হান্নান কবির লিখেছেন, ‘‘আগে বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ ফেরত নিয়ে যান যারা বৈধ ভাবেই ৬০ বিলিয়ন ডলার আপনাদের দেশে পাঠায় আর অবৈধভাবে যে কত পাচার হয় তা আল্লাহ্ই ভালো জানেন।’’
আব্দুল কাদেরের প্রশ্ন, ‘‘৫০ বছর আগে যে বন্ধু ছিলো আজও সে কি বন্ধু আছে? ঠেলার চোটে থাকতে না পেরে বন্ধু ভাবা। আমরা এই নীতিতে বিশ্বাসী।’’
মাইন উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ভাষণটি বাংলাদেশে অবস্থিত স্বঘোষিত দিল্লীর দালালদের স্মরণে উৎসর্গ করার জোরদাবী জানাচ্ছি।
একতরফা বন্ধুত্বের প্রতিদান আমরা আর কতো শোধ করবো।’’
অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে আক্ষেপের সুরে ইলিয়াস উদ্দীনের মন্তব্য, ‘‘এভাবে বলছ ক্যান বন্ধু? তোমরাতো আমাদের বন্ধু, আমরা তোমাদের পা চাটা গোলাম। লাথি মারবা, গুলি করবা, শোষণ করবা তবু্ও বলব তোমরা আমাদের বন্ধু। আফসোস, হায়রে হতভাগা জাতি আমরা!’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।