Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাম কমেছে পেঁয়াজ-আলু-ডিমের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম আবার কমেছে। হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পর সবার মাঝে দাম বাড়া নিয়ে শঙ্কা জাগলেও অবশেষে তেমন কিছু ঘটেনি। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফলে আবার পেঁয়াজ আগের দামে ফিরল।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্রে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে এক লাফে ৪০ টাকায় উঠেছিল। তার আগে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। খুচরার পাশাপাশি পাইকারিতেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ১৭৫ টাকা পাল্লা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে পাইকারিতে এক কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ২৫ থেকে ২৭ টাকা।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, সরবরাহ কম থাকায় গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছিল। এখন পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক হয়ে গেছে। বাজারে প্রচুর ভালো পেঁয়াজ আসছে। এ কারণে দামও কমেছে। তারা আরো বলেন, গত সপ্তাহে হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বাড়তি কিনেছিলাম। কিন্তু আমি কেনার পর দিনই দাম কমে গেছে। এখন লোকসান দিয়ে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতা অনেক। ক্রেতা যেখানে কম দাম পাবে সেখান থেকে কিনবে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি খুচরাই ৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে পাইকারিতে এক কেজি পেঁয়াজ কেনা পড়ে ৩৫ টাকা।

এদিকে পেঁয়াজের পাশাপাশি আলু ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। খুচরা বাজারে এক কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা, তা গত সপ্তাহে ২০ টাকায় উঠেছিল। আর গত সপ্তাহে ১০০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম কিছুটা কমে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি, গত সপ্তাহে দাম বাড়ায় এক ডজন ডিম ১০০ টাকায় বিক্রি করি। এখন কম দামে কিনতে পারায় ৯০ টাকা ডজন বিক্রি করছি। এদিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় সবজির দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। আগের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, শীতের সবজি এখনো ভরপুর পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। আরও মাসখানেক হয়তো সবজির এমন দাম থাকবে। তারপর দাম বেড়ে যেতে পারে। আর একবার দাম বাড়া শুরু হলে দেখবেন, দেখতে দেখতে সব ধরনের সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে চলে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেঁয়াজ-আলু-ডিমের

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ