ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
একজন শিক্ষক হিসেবে ইসলামি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে যা বুঝতে পেরেছি, তা উল্লেখ করছি। আমার কয়েকজন ছাত্র দু’এক দিন পরপর আমাকে ফোন দিয়ে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করে। জিজ্ঞাসা করে, স্যার! অমুক কাজটি করতে চাচ্ছি। করা ঠিক হবে কিনা? তাদের জিজ্ঞাসিত কাজটি ভালো হলে আমি তাদেরকে প্রথমে নিজের ভাষায় বলি, ‘কাজটি করা ভালো’, ‘কাজটি করা যেতে পারে’, ‘কাজটি করা উচিত’, ‘জীবনের জন্য কল্যাণকর’ ইত্যাদি। আবার কাজটি মন্দ হলে বলি, ‘কাজটি করা অনুচিত’, ‘করা ঠিক নয়’, ‘নৈতিকতা পরিপন্থী’, ‘জীবনের জন্য অকল্যাণকর’ ইত্যাদি।
আমি লক্ষ করেছি, যখনই আমি বলি ‘অমুক কাজটি করা ভালো’। তখন প্রত্যেক ছাত্রই জিজ্ঞাসা করে, ‘স্যার! ইসলামের দৃষ্টিতে, কুরআন-হাদিসের আলোকে কাজটি কীরূপ? কাজটি করলে সওয়াব হবে কিনা? কুরআন-হাদিসের আলোকে ভালো হিসেবে গণ্য হলে, সওয়াবের কাজ হলে যেকোনো মূল্যে তা পালন করার চেষ্টা করব’। আবার যখন বলি, ‘অমুক কাজটি করা অনুচিত, করা ঠিক নয়’। তখন অনেকেই জিজ্ঞাসা করে, ‘স্যার, কাজটি শরীয়তের দৃষ্টিতে কি হারাম? গুনাহের কাজ? হারাম হলে বা গুনাহের কাজ হলে অবশ্যই তা বর্জন করব; ইচ্ছা, আকাক্সক্ষা, লোভ-লালসা সবকিছু ত্যাগ করবো ইসলামের বিধান পালনের জন্য, যেকোনো মূল্যে পরিহার করবো, কাজটির নিকটেও যাব না’ ইত্যাদি।
আমাদের প্রতিষ্ঠান-কর্তৃপক্ষ কিছুদিন পরপর নোটিশ আকারে কিছু নির্দেশনা জারি করে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সকল প্রতিষ্ঠানই এমনটি করে থাকে। নোটিশ জারি হওয়ার পর সেটিকে শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ করে শোনানো হয়। অতঃপর তা শ্রেণিকক্ষের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হয়। আমরা প্রায়শই লক্ষ করি, ছাত্র-ছাত্রীরা নোটিশের নির্দেশনা অমান্য করে। গোপনে নির্দেশনার উল্টো কাজ করে। একবার নোটিশ হলো, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কলেজে মোবাইল ফোন আনা, বহন করা এবং ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু দেখা গেল, ছাত্র-ছাত্রীরা উক্ত নির্দেশনা অমান্য করছে। হঠাৎ যখনই তল্লাশি করা হলো, অনেকের ব্যাগে মোবাইল ফোন পাওয়া গেল। যতবার নোটিশ দেওয়া হলো, মোবাইল আনা বন্ধ হলো না। একদা একটি শ্রেণিতে পাঠদানের পূর্বে দশ মিনিট মোবাইল ফোন আনার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলাম। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বললাম, কলেজে মোবাইল ফোন আনা নিষেধ। কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিশের মাধ্যমে তোমাদের নিষেধের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে তোমরা গর্হিত কজ করছ। একজন ছাত্র জিজ্ঞাসা করল, স্যার, ব্যাগের মধ্যে একটি মোবাইল বহন করা কি এতই বড় অপরাধ? আমি বুঝিয়ে বললাম, কর্তৃপক্ষের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা আবশ্যক। কর্তৃপক্ষ যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদর্শের বিপরীত কোনো কাজের নির্দেশ না দেন, তাহলে তাদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা তেমনই আবশ্যক। আমার মনে হলো, ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, মোবাইল এনে তারা শুধু কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিচ্ছে না। বরং গুনাহের কাজ করছে। এর পর যখন ঐ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করা হলো, তখন কারো ব্যাগে মোবাইল সেট পাওয়া গেলো না।
এ থেকে আমি খুব ভালভাবে ছাত্রদের বাস্তব জীবনের অবস্থা বুঝতে সক্ষম হয়েছি। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো উপদেশ দেওয়া হলে ছাত্র-ছাত্রীরা তা মেনে চলার ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্বারোপ করে না। পক্ষান্তরে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে যখন কোনো কিছুর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, তখন তা গ্রহণ করতে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক বেশি আগ্রহী হয়। অনুরূপভাবে যখন ইসলামের আলোকে কোনো কিছুর অপকারিতা তুলে ধরা হয়, তখন তা বর্জন করতে দৃঢপ্রতিজ্ঞ হয়। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে সততা, ন্যায়নীতির উপদেশ যতই দেওয়া হোক, তা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে তেমন ফলপ্রসূ হয় না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যখন কোনো বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়, তখন ছাত্র-ছাত্রীরা তা পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে।
উপদেশ দেয়া যায় বিভিন্ন ভাবে। প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, উপন্যাস পড়ানোর মাধ্যমে, বিভিন্ন বৈষয়িক সাবজেক্টের পাঠ্যসূচিতে নৈতিক শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট পাঠসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে, মনীষীদের জীবনী পড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে। এসবের মাধ্যমে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হলে তা যতটুকু ফলপ্রসূ হয়, ইসলামি শিক্ষার মাধ্যমে একই বিষয় শিক্ষা দেয়া হলে তা বহু গুণে বেশি ফলপ্রসূ হয়। আমি নিজে দেখেছি, যখন আমি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের ভাষায় বলি, ‘অমুক কাজটি করা ভালো’, ‘করা উচিত’ ‘কাজটি কল্যাণকর’ তখন ছাত্র-ছাত্রীরা তা মেনে চলার ক্ষেত্রে তেমন আগ্রহ দেখায় না। যখন বলি ‘কাজটি করা ফরজ’, ‘সওয়াবের কাজ’ তখন তাদের আগ্রহ বহু গুণে বেড়ে যায়। অনুরূপভাবে যখন বলি, ‘অমুক কাজটি করা অনুচিত’, ‘অকল্যাণকর’, তখন তা বর্জন করার ক্ষেত্রে তারা তেমন গুরুত্ব দেয় না। যখন বলি, ‘কাজটি হারাম’, ‘কবিরা গুনাহ’ তখন তারা যেকোনো মূল্যে তা বর্জন করতে চেষ্টা করে, বর্জন করতে দৃঢ় প্রতীজ্ঞ হয়। অর্থাৎ, বৈষয়িক জ্ঞানের আলোকে নৈতিকতা শিক্ষা দিলে যতটা ফলপ্রসূ হয়, ইসলামি জ্ঞানের আলোকে তা শিক্ষা দেওয়া হলে তার চেয়ে বহু গুণে ফলপ্রসূ হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পার্থিব জীবনকে সুন্দর করা ও তাদের চরিত্র সংশোধনের জন্য ইসলামি শিক্ষা সবচেয়ে ফলপ্রসূ, একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।
ইসলামি শিক্ষার বহুবিধ কল্যাণের মধ্যে একটি হচ্ছে, এ শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে তাকওয়া সৃষ্টি করে। তাকওয়া এমন একটি গুণ, যা অর্জিত হলে মানুষ সর্বদা আল্লাহর উপস্থিতি অনুভব করে। সেই অনুভবের কারণে সে কোনো অন্যায় কাজ করতে সাহস পায় না। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যাবে মনে করে মানুষ সাধারণত সিসি ক্যামেরার সামনে অন্যায় কাজ করে না। তাকওয়া মানুষের মধ্যে এই চেতনা জাগিয়ে তোলে যে, আল্লাহর ক্ষমতা সিসি ক্যামেরার চেয়ে কোটি গুণ বেশি। সিসি ক্যামেরা কেবল মানুষের বাহ্যিক চলাফেরা, নড়াচড়া, গতিবিধি ধারণ করতে পারে। আল্লাহ গোপন-প্রকাশ্য, আলো-অন্ধকারের সবকিছু জানেন ও দেখেন। তাঁকে ফাঁকি দেওয়ার কোনো উপায় নাই। সুতরাং অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি হলে মানুষ অন্যায় কাজ করাতো দূরের কথা, অন্যায়ের চিন্তাও করে না। কারণ সে জানে, নিশ্চয়ই শ্রবণ, দর্শন এবং অন্তরের চিন্তা সম্পর্কেও তাকে একদিন জিজ্ঞাসিত হতে হবে, শাস্তি পেতে হবে। সে কারণে তাকওয়াবান ব্যক্তি দুর্নীতি করাতো দূরের কথা, দুর্নীতির চিন্তাও করে না। যে সব অনাচারের কারণে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে এত অশান্তি; যেমন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, ব্যাভিচার, ধর্ষণ, ওজনে কম দেওয়া, খাদ্যে ভেজাল দেওয়া, মাতাপিতার অবাধ্যতা, সুদ খাওয়া, ঘুষ আদান-প্রদান করা, নারী নির্যাতন, গীবত-চোগলখুরি, ধূমপান, মাদকাসক্তি ইত্যাদিতে জড়িয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করাতো দূরের কথা, এগুলোর কাছেও যায় না। একটি সুন্দর সমাজ, সুন্দর রাষ্ট্রের জন্য তাকওয়াবান নাগরিক খুবই প্রয়োজন। কেবল ইসলামি শিক্ষাই তাকওয়াবান নাগরিক তৈরি করতে পারে। এ শিক্ষা শিক্ষার্থীদের অন্তরে জবাবদিহি গ্রথিত করে। ফলে সে কর্তব্যে ফাঁকি দেয় না। বরং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে নিষ্ঠার সাথে কর্তব্য পালনের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার মহান ব্রতে আত্মনিয়োগ করে।
স্কুল, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাধারাকে আমরা সাধারণ শিক্ষাধারা বা মূলধারা বলে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি এই মূলধারায় তৃতীয় থেকে দশম পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের একশত নম্বরের ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। অন্যান্য ধর্মালম্বীদের জন্য তাদের ধর্ম পড়ানো হয়। এ বিষয়টি আছে বলে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ নিজ ধর্মের প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণু ও পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে গড়ে উঠছে। ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের খপ্পরে পড়া থেকে আত্মরক্ষা করে সরল সঠিক পথে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। তাকওয়াবান হচ্ছে, চরিত্রবান হচ্ছে। এ বিষয়টি হলো বাইচের নৌকার হালের মতো। বাইচের নৌকায় পিছনে যিনি থাকেন তিনি হাল ধরেন। সামনের যে মাঝিরা থাকেন তারা শুধু বৈঠা মেরে নৌকাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান। পিছনে যিনি হাল ধরেন, তিনি না থাকলে নৌকার গতি ঠিক থাকে না। ফলে নৌকা দুর্ঘটনায় পতিত হয়। সামনের বৈঠাওয়ালা বিশ জনের স্থলে উনিশ হলেও তেমন কেনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু পেছনের মাঝি না থাকলে নৌকার দুর্ঘটনা নিশ্চিত। তেমনি স্কুল-কলেজে দশ বিষয়ের স্থলে নয় বিষয় পড়ানো হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে না। কিন্তু ধর্ম শিক্ষা না থাকলে জাতির যে ক্ষতি হবে তা পূরণ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। ধর্মীয় শিক্ষা চরিত্র গঠনের সর্বোত্তম হাতিয়ার। এ শিক্ষা না থাকলে জাতি চরিত্রহীন হবে, চরিত্র হারাবে। মানে সব হারাবে। কেননা একথায় সবাই একমত, হোয়েন ক্যারেকটার ইজ লস্ট, এভরিথিং ইজ লস্ট। অর্থাৎ যখন কেউ চরিত্রহীন হয়, তখন সে সবকিছু হারায়।
বর্তমানে একশ নম্বরের ইসলামি শিক্ষা দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক আছে এবং জেএসসি ও এসএসসিতে শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করে মূল্যায়ন করা হয়, যা যথাস্থানে রাখার বিকল্প নাই। দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইসলামি শিক্ষার উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে এই অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি দিন দিন অবহেলিত হচ্ছে। গুচ্ছের আওতায় ফেলার ফলে উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে ইসলামি শিক্ষা বিদায়ের পথে। সম্ভবত ১৯৯১ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ইসলামি শিক্ষাকে কেবল মানবিক বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট করা হয় এবং চতুর্থ বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র-ছাত্রীরা এ বিষয়টি পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। মানবিক বিভাগেরও সবাই নয়, বরং গুটিকয়েক ছাত্র-ছাত্রী এ বিষয়টি পড়ছে। কারণ তারা তৃতীয় বিষয় হিসেবে নিতে পারছে না, তাদের পড়তে হচ্ছে চতুর্থ বিষয় হিসেবে। ফলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ইসলামি শিক্ষার কল্যাণকর প্রভাব থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার ইসলামি শিক্ষা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছেন। ৮০টি আলিয়া মাদরাসায় ফাযিলে অনার্স চালু করেছেন এবং কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দিয়েছেন, দারুল আরকাম মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইসলামি শিক্ষাবান্ধব এ সরকার উচ্চমাধ্যমিকেও সকল বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইসলামিক স্টাডিজ পড়ার সুযোগ করে দেবে বলে আমরা আশাবাদী।
সমাজ ও রাষ্ট্রে দিন দিন সামাজিক অনাচার বেড়েই চলছে ধর্মবিমুখতার কারণে। এ হেন পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে একশ নম্বরের ইসলামি শিক্ষা পড়ানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এটি এখন সময়ের অনিবার্য দাবি। আমরা আশাবাদী, সরকার ডিগ্রি পাশ, অনার্স এবং মাস্টার্সে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ার সুযোগকে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর প্রশস্ত করে দেবে এবং শিক্ষার সকল স্তরে ১০০ নম্বরের ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করবে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।