Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেহায়াপনা অশ্লীলতাকে উৎসাহিত করে ভ্যালেন্টাইন ডে- জুমার বয়ানে পেশ ইমাম

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:১৯ পিএম

বিজাতীয় সংস্কৃতি ভ্যালেন্টাইন ডে ভালোবাসার শূন্যতা পূরণ করে না বরং বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা,অশ্লীলতা ও দায়িত্ব বর্জিত ভোগের প্রতি উৎসাহিত করে। বিবাহ পূর্ব ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ভালোবাসার সাথে দায়িত্ববোধ না থাকার কারণে এরকম সম্পর্ককে ইসলাম হারাম করে দিয়েছে। কোনো মু’মিন ব্যক্তি চরম দেউলিয়াপনা থেকে উৎপত্তি কথিত ভালোবাসা দিবসকে (ভ্যালেন্টাইন ডে) অনুসরণ করতে পারে না। আজ বিভিন্ন মসজিদে জুমার খুৎবাপূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম ও খতিবরা এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নগরীর মসজিদগুলোতে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষীত হয়। রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রচুর মুসল্লির সমাগম ঘটে।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মুহাম্মদ মুহিববুল্লাহিল বাকী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেছেন, ইসলামের দৃষ্টিতে ভালোবাসার অর্থ বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা, অশ্লীলতা ও দায়িত্ববর্জিত ভোগের নাম নয়। ভালোবাসার অর্থ একে অপরের দায়িত্ব নেয়া। ভালোবাসার সাথে দায়িত্ববোধকে যুক্ত করে দেয়ার জন্যই ইসলাম বৈবাহিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছে। এবং ক্ষেত্র বিশেষে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। বিবাহ পূর্ব ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ভালোবাসার সাথে দায়িত্ববোধ না থাকার কারণে এরকম সম্পর্ককে ইসলাম হারাম করে দিয়েছে। বিবাহের মাধ্যমে অর্জিত সম্পর্কে শুধু ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থাকে তা নয় বরং বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে ভালোবাসার একটি বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়।

পেশ ইমাম বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব বিবাহ পূর্ব ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে পারিবারিক অবকাঠামো হারিয়ে ভালোবাসার দৈন্যতা ও দেউলিয়াপনায় শিকার হয়ে দিক বিদিক ছুঁটছে। অশান্ত মন একটু করে হলেও শান্ত হবে এ আশায় পশ্চিমা বিশ্ব ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করছে। কিন্তু তাদের সে আশায় গুঁড়েবালি। এই প্রতীকি দিবস পালন তাদের ভালোবাসার শূন্যতা পূরণ করতে পারেনি বরং তাদের কান্নার আওয়াজ আরও বৃদ্ধি করে দিয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের পড়ন্ত বয়সের যুবক-যুবতিদের কাছে গেলেই তাদের কান্নার আওয়াজ যে কেউ শুনতে পাবে। তিনি বলেন, ভ্যালেন্টাইন ডে ভালোবাসার শূন্যতা পূরণ করে না বরং বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা, অশ্লীলতা ও দায়িত্ব বর্জিত ভোগের প্রতি উৎসাহিত করে এবং পবিত্র ভালোবাসার অবশিষ্ট ছিটেফোটার অংশটুকুও ধ্বংস করে দেয়।

পেশ ইমাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “তোমরা আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব কর। তাঁর সাথে কাউকে অংশীদার করো না, পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার কর”। সূরা: নিছা-আয়াত নং-৩৬। নাম সর্বস্ব ভালোবাসা দিবস পালনের কুসংস্কার থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করে ইসলামের নির্দেশিত পন্থায় চারিত্রিক মাধূর্যতা ও পবিত্র ভালোবাসা অক্ষুন্ন রাখতে আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে তৌফিক দান করেন। আমীন!

রাজধানীর চকবাজার শাহী মসজিদের খতিব মুফতি মিনহাজ উদ্দিন, আজ জুমার বয়ানে বলেন, মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ”হে আমার নবী আপনি বলুন আমার রব হারাম করেছন প্রকাশ্য ও গোপনে অশ্লীলতাকে, পাপাচারকে, অসঙ্গত বিদ্রোহকে (সূরা আরাফ: ৩৩)। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সমাজে নির্লজ্জতার অপর নাম হচ্ছে আধুনিকতা। যে যত বেশি লজ্জাহীনতা বা অশ্লীলতা প্রদর্শন করতে পারছে সে ততো বেশি আধুনিকতার খেতাবে ভূষিত হচ্ছে।

উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কথিত ভ্যালেন্টাইন ডে তথা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কথিত খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের প্রতি এই ভালোবাসা প্রদর্শনের কোন সুফল আমাদের জীবন ও সমাজে আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিজাতীয় পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি বরাবরই আমাদেরকে শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন ও বিপথগামী করেছে। পেশ ইমাম বলেন, আধুনিকতার মোড়কে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নির্লজ্জতাকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কিছু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, মোবাইল কোম্পানি এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা দৃষ্টিগোচর হয়। নিছক মুনাফার লোভে নিজ জাতির তরুণ প্রজন্মকে পাপাচারে লিপ্ত করানো নিজ পায়ে কুড়াল মারার চাইতে বড় নির্বুদ্ধিতা বৈকি! বিজাতীয় সংস্কৃতির 'বিশ্ব ভালোবাসা দিবস' উদযাপনের কুপ্রভাবে সমাজে ইভটিজিং, নারীর শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ,তরুণ-তরুণীদের বেপরোয়া আচরণ ও বেহায়াপনা মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। পারিবারিক জীবন ও সম্পর্কগুলোতে অনাস্থা, অবিশ্বাস ও অসম্মান প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে নৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ বন্ধনগুলো মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে। নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসে, আল্লাহর জন্যই অপছন্দ করে, আল্লাহর জন্য প্রদান করে এবং আল্লাহর জন্যই বারণ করে, সে তার ঈমানকে পরিপূর্ণ করেছে। আল্লাহ আমাদের ভুলগুলো শুধরে, সঠিক ও নিরাপদ পথ চলার তৌফিক দান করুন। আমীন!

মিরপুর ই-ব্লক এর বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, ইসলামে কোন দেবতার সম্মান বা পূজা অর্চনা ও তার অনুসরণে কোন দিবস পালন করা শিরকের অন্তর্ভূক্ত বড় গুনাহের কাজ। তদ্রুপ অবৈধ ভালবাসা, শরীয়ত বহির্ভূত প্রেম বিনিময় সম্পূর্ন হারাম ও নিষিদ্ধ। আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ”বিশ্ব ভ্যালেন্টাইন দিবস”। এনসাইক্লোপিডিয়াসহ আরও কয়েকটি রেফারেন্স থেকে জানা যায় যে, রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় তিনি ছিলেন অভিজ্ঞ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয়

ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দি ছিলো তখন তরুণ-তরুণীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানায় জানালা দিয়ে চিঠি ছুঁড়ে দিতো। বন্দি অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করেন। মেয়েটির সঙ্গে তার অবৈধ ভালোবাসর সম্পর্ক গড়ে উঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে এক চিঠিতে সে লিখে Love From your valentine. অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ভালবাসা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।

খতিব বলেন, গবেষকদের গবেষণা ও এনসাইক্লোপিডিয়ার তথ্য মতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসের সাথে জড়িয়ে আছে দেবতার সম্মান, মূর্তি পূজার মত শিরকের কাজ এবং চরিত্র বিধ্বংসী অপসংস্কৃতি, বেহায়াপনা, পশু সুলভ অবৈধ প্রেম বিনিময়ের উম্মাদনা ও নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। যা এখন সীমালঙ্গনের পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে। একে রুখে দিতে হবে নইলে ভালবাসা দিবস পালনের নামে এসব অবৈধ কর্মকান্ড এক সময় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, তোমরা সীমালঙ্ঘনকারীদের প্রতি অনুরক্ত হয়োনা, অন্যথায় অগ্নি তোমাদেরকে স্পর্শ করবে। আর এই অবস্থায় আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের আর কোনো বন্ধু থাকবে না এবং তোমরা সাহায্যও পাবে না। (সুরা হুদ, আয়াত নং ১১৩)। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন প্রকারের মানুষ আল্লাহর কাছে সর্বাধিক ঘৃণিত, প্রথমত: হারাম শরিফের পবিত্রতা বিনষ্টকারী, দ্বিতীয়ত: ইসলামে বিজাতীয় রীতি-নীতির (সংস্কৃতির) প্রচলনকারী, তৃতীয়ত: কোনো মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যার প্রচেষ্টাকারী। (বুখারি)। আল্লাহ সবাইকে ছহী পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন!

বগুড়া শহরস্থ বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল কাদের আজ জুমার বয়ানে ঈমান নষ্ট হওয়ার মূল কারণসমূহ উল্লেখ করে বলেন, সূরা নেছার ৯৩ নং আয়াতে আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর আনুগত্য হতে বিমূখ হওয়া এবং স্বেচ্ছায় কোনো মুমিনকে হত্যার কারণে ঈমান নষ্ট হবার কথা বলা হয়েছে। সূরা মায়দার ৭২ নং আয়াতে আল্লাহর সাথে শিরক করা হলে ঈমান নষ্ট হবার কথা বলা হয়েছে। মুফতি আব্দুল কাদের বলেন, আল কুরআনের কোনো বিধানকে অপছন্দ করা, ঈমানের মৌলিক বিষয়ের যে কোনো একটিকে অবিশ্বাস করা এবং হারামকে হালাল মনে করে গ্রহণ করা হলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহপাক সবাইকে ঈমান রক্ষার তৌফিক দান করুন। আমীন! মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, মানুষের যবান অত্যন্ত দামি সম্পদ। এর সঠিক ব্যবহার করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা মস্তিষ্ক ও যবানের মধ্যে অটোমেটিক সূ²ম কানেকশন তৈরি করে রেখেছেন। মানুষের যবানকে জিকিরের মাধ্যমে সতেজ রাখতে হবে। হাদিসে এসেছে, কোনো ঈমানদার যখন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলেন এর দ্বারা মিজানের পাল্লা অর্ধেক ভরে যায়। বুখারি শরিফের শেষ হাদিসে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দুটি কালিমা যা দয়াময় আল্লাহর নিকট খুব প্রিয়! উচ্চারণে অতি সহজ তবে মিজানের পাল্লায় অধিক ভারী, তা হলো ‘সুবহানাল্লাহি ওবি হামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ কারণ যবান সংযত রাখার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা।

ঢাকার ইসলামবাগ বড় মসজিদের খতিব শাইখুল হাদীস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী জুমার খুৎবাপূর্ব বক্তব্যে সূরা তাওবার ২৪নং আয়াতের মর্মার্থ তুলে ধরে বলেছেন, এই আয়াতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে যে, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, পুত্র, ভাই, স্ত্রী, গোত্র, অর্জিত অর্থ-সম্পদ,ব্যবসা-বাণিজ্য ও পছন্দসই বাসা-বাড়ী আল্লাহ-আল্লাহর রাসুল ও জিহাদের বাসনা অপেক্ষা অধিক প্রিয় হয় তাহলে আল্লাহর আজাব অত্যাসন্ন। মুমিন নর-নারীর জীবনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) এর ভালোবাসা এবং জিহাদের বাসনা দুনিয়া কেন্দ্রিক এ সব সংশ্লিষ্টতার চেয়ে অধিক শক্তিশালী হওয়াই এই আয়াতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে কড়া হুঁশিয়ারীও উচ্চারিত হয়েছে আলোচ্য আয়াতে কারীমার মধ্যে। এতে যে মাত্রার ভালোবাসা আমাদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে সে মাত্রার ভালোবাসার আগুন কারো অন্তরে প্রজ্জ্বলিত হলে এমন ভালোবাসার সকল দাবিই পূরণ করা তার জন্য শুধু সহজই হয়না বরং উপভোগ্যও হয়। কারণ ভালোবাসাই ভালোবাসার নিয়ম-কানুন শেখায় এবং সে সব নিয়মের অনুশীলন ও অনুসরণ যতই অসহনীয় হোক না কেন সেগুলোকে সহনীয় বানায়।
ঢাকার ডেমরার দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. মনিরুল ইসলাম জুমার বয়ানে বলেন, স্ত্রীর ওপর স্বামীরও অনস্বীকার্য অধিকার রয়েছে। প্রথম অধিকার হলো বৈধ কর্মে ও আদেশে স্বামীর আনুগত্য। স্বামী সংসারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সংসার ও দাম্পত্য বিষয়ে তার আনুগত্য স্ত্রীর জন্য জরুরি। যে নারী স্বামীর একান্ত অনুগতা ও পতিব্রতা সে নারীর বড় মর্যাদা রয়েছে ইসলামে। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে। রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী জুমার খুৎবা পূর্ব বযানে বলেন, আল্লাহপাক যবান ও জিহ্বাকে আমাদের জন্য বিরাট নেয়ামত হিসেবে দান করেছেন। আল্লাহ পাকের এই মহান নিয়ামতকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। যবান থেকে প্রকাশ পায় এমন জঘন্য গুনাহর অশ্লীল কথাবার্তা সর্বদা পরিহার করতে হবে। যবানের সাহায্যে যারা অপরকে কষ্ট দেয়, কুরআনে কারীমে তাদেরকে কঠিন গুনাহে লিপ্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,"যারা মুমিন নর-নারীদেরকে বিনা অপরাধে কষ্ট দেয়, তারা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব, আয়াত নং ৫৮)।



 

Show all comments
  • Jack+Ali ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:১৯ পিএম says : 0
    Our beloved sacred land ruled by the enemy of Allah.. They know how to rule a country easily, how??? government have to open all the avenue to commit illegal sexual intercourse, Cinema, Drama, Singing, Co-Education, Concert, and also the overtly poisoned people's mind to hate Islam, they also under the table push drug as such they have broke the back bone of the Youth. When youth are destroyed then it's extremely easy to rule a country without any problem. No matter Alem community give lecture about immoral activities nothing will happen, it's just waste their time. Only solution that Alem's community has to take that our country must rule by Qur'an.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ