পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের কোনো এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকার নেই্ বলে জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজউদ্দিন আহমেদ।
গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘জেড’ ফোর্সের এ ও বি কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, জামুকার এগুলো কাজ না, জামুকা হলো কে ভাতা পাবে কি পাবে না, কে মুক্তিযোদ্ধা, কে মুক্তিযোদ্ধা হবে না। বীর উত্তম, স্বাধীনতার ঘোষক, জেড ফোর্সে অধিনায়ক, সেক্টার কমান্ডার, সেনাবাহিনী প্রধান, জেনারেল, প্রেসিডেন্ট তাদের ব্যাপারে কি এদের কোন এখতিয়ার আছে? হু ইজ জামুকা। এদেরকে কী কেউ চেনে? কোথায় জিয়াউর রহমান, কোথায় এগুলো।
গত ৯ ফেবব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকা সভায় জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
মেজর হাফিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করি, জনগনকে আর হাস্যস্পদ করবেন না। এই উদ্যোগ যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে আপনি আপনার পিতাকে অসন্মান করছেন। এটা ভুলে যাবেন না।
তিনি বলেন, এই খেতাব নিলো কি গেলো- কিছু আসে যায় না, তিনি মৃত্য এখন। খেতাব নিলেও জিয়াউর রহমান জিয়্উার রহমান থাকবেন, লক্ষ-কোটি মানুষের কাছে, অনাগত ভবিষ্যতের কাছে তিনি এই দেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রূপেই ইতিহাসে চিহ্নিত থাকবেন এবং জনগনের হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসন তার চির অম্লান থাকবে।
১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে ততকালীন উপ-সেনা প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না দাবি করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের তো বিচার হয়েছে। কৈ কোনো সাক্ষী, কোনো ব্যক্তি কেউ কী বলেছে যে, উনি এই ধরনের হত্যাকান্ডে অংশ গ্রহন করেছেন বা এটা করেছেন।
হাফিজ বলেন, বর্তমান সরকার দেউলিয়াত্বে শেষ পর্যায় পৌঁছে গেছে, জাতিকে দেবার কিছেই নেই। আন্তর্জাতিকভাবে তাদের কেলেংকারীর কথা ফাঁস হচ্ছে। জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে নিবদ্ধ করার জন্য আজকে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মতো একজন ব্যক্তি সম্পর্কে এই ধরনের অলিক মিথ্যা তথ্য জাতির কাছে হাজির করেছে। এটা দুঃখজনক। জিয়াউর রহমান কোনো ধরনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না। হি ওয়াজ এ ন্যাশনাল হিরো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।