Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চিঠিপত্র : বিনামূল্যে ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে

প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ যা সরকারিভাবে চিকিৎসা কেন্দ্রসমূহে সরবরাহ করা হচ্ছে- তার অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ সাধারণ রোগীরা বিনামূল্যে পাচ্ছে। সিংহভাগ ওষুধ অসাধু চক্রের কারসাজিতে খোলাবাজারে চলে যাচ্ছে এবং জনগণকে নিজের পয়সা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। ওষুধ চুরি রোধে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রসমূহে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ট্রেড নামে নয়, জেনেরিক নামে সরবরাহ করতে হবে। ট্যাবলেট ক্যাপসুল ইত্যাদি প্লাস্টিক বোতলে প্যাক করতে হবে বেশি সংখ্যায়। যেমন ৫০০টি এক বোতলে। সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসকদের রোগীদের জেনেরিক নামে ওষুধের ব্যবস্থাপত্র লিখতে নির্দেশ দিতে হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসারে প্লাস্টিকের প্যাক খুলে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা ইনজেকশন প্রদান করতে হবে রোগীকে। পৃথক কাগজের প্যাকেটে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখে রোগীকে দিতে হবে। একজন রোগীকে সাধারণত সাত দিন, পনেরো দিন বা ত্রিশ দিনের ওষুধ খেতে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে তার ৫০০টি ওষুধ প্রয়োজন হয় না। রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ/ব্যবস্থাপত্র অনুসরণ করে কাগজের প্যাকেট থেকে ওষুধ ব্যবহার করবেন। অন্যান্য রোগী যারা বেসরকারিভাবে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করবে তারা ওষুধের দোকানে গিয়ে প্রচলিত পদ্ধতিতে ব্র্যান্ড নামে ওষুধ ক্রয় করবেন। বর্তমানে ব্র্যান্ড নামে ওষুধ বিক্রি হয়। এসব রোগীকে জেনেরিক নামের সরকারি ওষুধের প্যাকেট থেকে ওষুধ প্রদান করলে তারা ব্র্যান্ড নামের সঙ্গে ওষুধের নামের মিল না থাকায় এবং কাগজের প্যাকেটে খোলা ওষুধ দেওয়াতে ক্রয় করতে অস্বীকার করবেন। এতে করে সরকারি ওষুধ চুরি রোধ করা সম্ভব হবে।
মোঃ আশরাফ হোসেন ১২০, সেন্ট্রাল বাসাব, ঢাকা-১২১৪

ব্যাচেলরদের আবাসন সংকট
ঢাকায় ব্যাচেলরদের আবাসন সংকট একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অবিবাহিত তরুণরাই পড়াশোনা ও কাজের জন্য বেশি বেশি রাজধানীমুখী হয়। রাজধানীতে ব্যাচেলরদের বাড়িভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালাদের উপেক্ষা বড় পীড়াদায়ক। কিন্তু বিপথগামী তরুণ অপকর্ম বিবেচনায় ঢালাওভাবে ব্যাচেলরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সমাজে পরোক্ষভাবে হতাশা আর অস্থিরতা বাড়াবে। এ অবস্থায় ভাড়াটিয়াদের নাম-পরিচয়সহ যাবতীয় তথ্য নিকটস্থ থানায় জমা দেয়া এবং সচেতনতা বাড়ানো জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলায় অপেক্ষাকৃত সঠিকতর উদ্যোগ। কিন্তু ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া এড়িয়ে চলা হবে একটি অমানবিক কাজ। অতএব অনাকাক্সিক্ষত এ সমস্যা সমাধানের সকলের বিবেকবান হওয়া একান্ত জরুরি।
এম সবুজ মাহমুদ, তারতাপাড়া, মাদারগঞ্জ, জামালপুর।

নবজাতকের প্রথম ‘টিকা’ শালদুধ
মায়ের দুধে অ্যান্টিবডি থাকে, যা শালদুধে বিদ্যমান। নবজাতকের প্রথম টিকা অবশ্যই জন্মের প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে খাওয়াতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে যা শালদুধ নামে পরিচিত। জন্মের পর পর যত দ্রুত সম্ভব এটি নবজাতককে দিতে হয়। সাধারণত যে কোনো রোগের টিকা দেওয়ার দু-চার সপ্তাহ পর টিকা কার্যকর হয় অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। কিছু টিকা আছে যা একাধিক ডোজ দেওয়ার পর শিশু সেই বিশেষ রোগটি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু শালদুধ বিশেষ গুণসম্পন্ন বলে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর এবং একই সঙ্গে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। আর সে জন্যই শালদুধ হচ্ছে শিশুর প্রথম টিকা।
শালদুধ মূলত ল্যাকজেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি খেলে শিশুর কালো পায়খানা বা মিকোনিয়াম সহজে বের হয়ে যায়। মিকোনিয়াম বেশি সময় খাদ্যনালিতে থাকলে শিশুর জন্ডিস হতে পারে। সুস্থ শিশু পেতে হলে শিশুকে শালদুধ দেওয়ার বিকল্প নেই। অমিত বণিক, বাঁধন বণিক, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : বিনামূল্যে ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে
আরও পড়ুন