পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মোটর মালিকদের কার্যালয়ের দখল নিতে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে চলা এই হামলায় নেতৃত্ব দেন মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম মোহন।
মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামের অফিস ও তার মালিকানাধীন শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার বাঙচুর করা হয়। এছাড়া হামলায় ডিএসবির রমজান আলী নামে একজন ওয়াচার ও গাজী টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন রাজু আহম্মেদসহ ১০ বাস যাত্রী ও পথচারী আহত হয়েছেন। শুরুর দিকে হামলাকারীদের ব্যাপারে পুলিশ নমনীয় থাকলেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হামলার প্রতিবাদে ঘটনার পরপরই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এর সাবেক আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেতা মোহন ও তার বিরোধী গ্রুপের মধ্যে দ্ব›দ্ব, মামলা চলমান থাকার মধ্যেই সকালের দিকে মোহন তার সহস্রাধিক অনুসারীদের নিয়ে শহরতলীর চারমাথা বাস টার্মিনালের পূর্বদিকে অবস্থান নেন।
খবর পেয়ে তার প্রতিপক্ষ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তার অনুসারীদের জড়ো করে দখল প্রতিরোধের উদ্যোগ নেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলে উৎসাহিত হয়ে মোহনের সমর্থকরা সশস্ত্র বেশে টার্মিনাল, মোটর মালিক গ্রুপের অফিস, কাউন্সিলর আমিনুলের অফিস ও আমিনুলের মালিকানাধীন শাহ ফতেহ আলী পরিবহন কাউন্টারের দিকে ধাওয়া করে এগিয়ে যায়।
পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আমিনুল ও তার সমর্থকরা পিছু হটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ফলে বিনা বাধায় মোহন সমর্থকরা ধ্বংসলীলা ও লুটতরাজ চালায়। হামলাকারীরা ৫টি মোটরবাইক জ্বালিয়ে দেয়। অফিসের সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুন দেয়। মোবাইল ও টাকা-পয়সা লুটে নেয়। এসবের চিত্রধারণ করার অপরাধে তারা গাজী টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন রাজু আহম্মেদকে পিটিয়ে জখম করে। এছাড়াও সাংবাদিক ভেবে ডিএসবির ওয়াচার রমজান আলীকেও ছুরিকাঘাত করে। তাদের হাতে কয়েকজন বাসযাত্রীও আহত হয়। পরিস্থিতির অবনতি দেখে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়। তারা লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ঘটনার পর থেকে বাস টার্মিনালের সকল টিকেট কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। টার্মিনাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক যান চলাচলও। যে কোন মুহূর্তে পুনরায় সংঘর্ষ শুরুর আশঙ্কায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, ঘটনার পর বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন। বিকেলে মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন পরিবহন মালিক শ্রমিক গ্রুপ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সরকার, বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ সামসউদ্দিন হেলাল প্রমুখ।
সেখানে লিখিত বক্তব্যে বগুড়ার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও মোটর মালিক গ্রুপ, আমিনুল ইসলামের অফিসে হামলা, ধ্বংস ও লুটপাটের সাথে জড়িত মঞ্জুরুল আলম মোহন ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মামলাসহ অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানানো হয়। মামলা ও অপরাধীদের গ্রেফতার না করলে আজ সকাল ৯টা থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।