পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে এক ওয়াজ মাহফিলে আল্লামা শাহ আহমদ শফী, মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীসহ দেশের কয়েকজন প্রখ্যাত আলেমকে গালাগাল ও তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন মাওলানা মাহবুবুল হক আল কাদেরী ওরফে নূরে বাংলা। এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন নূরে বাংলা।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হেফাজতে ইসলামের সাতকানিয়ার উপজেলা আমির মাওলানা আবদুল মোবিন সাতকানিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় ইতোমধ্যেই তাকে (মাহবুবুল হক আল কাদেরী) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে নিন্দার ঝড়। ওই বক্তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
তরিকুল ইসলাম ফেইসবুকে লিখেন, ‘এরকম দুয়েকজনকে বিচারের আওতায় আনা গেলে বড় বড় ফেতনাবাজরাও সোজা হয়ে যেতো।’
মাহবুবুল হক আল কাদেরীর ফাঁসির দাবি জানিয়ে হাফেজ সফর উদ্দিন কামরান লিখেন, ‘আমরা এমন আলেমদের ফাঁসি চাই।’
কাদেরীকে ইমাদ নাজিরের প্রশ্নে, ‘কিরে .........., একজন আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তিকে কীভাবে সম্মান করে কথা বলতে হয়, এটাও তোমায় কেউ শেখায়নি?’
বাহরুল ইসলাম লিখেন, ‘আলেম রুপি শয়তান। এরা মুসলমানদের ঈমান নষ্টকারী। সমাজে ফিতনা সৃষ্টিকারী।’
এম আর এস আশরাফী লিখেন, ‘নবীর শানে বেয়াদবি করলে প্রশাসন কোথায় থাকে?’
এদিকে মাহবুবুল হক আল কাদেরীকে গ্রেফতার করায় এমডি সানাউল্লাহসহ অনেকেই পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।