Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিথ্যা অভিযোগে সাজা হয়েছে মীর কাসেমের-খন্দকার মাহবুব

প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টাও : জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আপিল বিভাগ মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে সাজা দিয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর বিচার করবে। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, রায়ের পর ফাঁসির দড়ি নিয়ে ঢোল পেটানো হচ্ছে এবং মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছে। আমি মনে করি, এই ধরনের আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভবিষ্যতে যদি বাতাস পাল্টে যায় তবে এই ধরনের আচরণের হয়তো বা পুনরাবৃত্তি হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার মীর কাসেমের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মীর কাসেমের মৃত্যুদ- বহাল রেখে আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছে ‘এটি সঠিক হয়নি’ আইনজীবী হিসেবে এ কথা বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আইনের বিধানমতে, সর্বোচ্চ আদালত যে বিচার করেন সেটাই ন্যায় বিচার। পৃথিবীর আনাচেকানাচে যারা আছেন, আইনজ্ঞ আছেন, আইন বিশারদ আছেন। তারা সাক্ষ্য-প্রমাণ পরিচালনা করে কী মন্তব্য করেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় আমি আছি। তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দিতে একজন সাক্ষীও মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়নি। পরে এসব সাক্ষীকে সেফ হোমে নিয়ে শিখিয়ে রিহার্সেল দিয়ে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই সাক্ষ্যর ভিত্তিতে আদালত মীর কাসেমকে সাজা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কিশোর জসিম হত্যাকা-ে জড়িত থাকার দায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। কিন্তু জসিম হত্যায় তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে কোনো প্রমাণ নেই। সাক্ষীরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাতে মীর কাসেম আলী সরাসরি জড়িত ছিলেন, এ ধরনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, মীর কাসেম একজন সমাজসেবক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল, ব্যাংক, গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তী সময়ে যদি দেখা যায়, এ সাজা সঠিক হয়নি, তাহলে কী হবে? তিনি আরো বলেন, সাক্ষীরা জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত অসহায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত এ আইন তৈরি করা হয়েছিল ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য। কিন্তু এ আইনে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিচার করা হচ্ছে। আদালত চত্বরে বিভিন্ন লোক শ্লোগান ও ফাঁসির দড়ি নিয়ে হাজির হয়েছে। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে একটু ‘টুঁ’ শব্দ হলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাঠানো হতো।



 

Show all comments
  • আরিফুর রহমান ৩১ আগস্ট, ২০১৬, ১:০৪ পিএম says : 0
    মহান আল্লাহ তায়ালা হলেন শ্রেষ্ঠ বিচারক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিথ্যা অভিযোগে সাজা হয়েছে মীর কাসেমের-খন্দকার মাহবুব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ