পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির রামপালবিরোধী অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর আনু মুহাম্মদ। একই সাথে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়া বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, এই আন্দোলনে যত দল, সংগঠন ও মানুষ শামিল হয় তত ভালো। কাজেই আমরা তো বিএনপির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রবিরোধী এই অবস্থানকে স্বাগতই জানাচ্ছি। বিএনপি নেতৃবৃন্দ আমাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন, সেজন্যও তাদের ধন্যবাদ। নিজের আইডিতে আনু মুহাম্মদ উল্লেখ করেন, বিএনপির কিছু লোক ফেসবুকে এই মাত্রায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন কেন? অসহিষ্ণুতা, কুৎসা, কদর্য মিথ্যাচার দেখছি আওয়ামী লীগের কিছু লোকের একক সম্পত্তি নয়। জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন নিয়ে কোনো কোনো পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের ওপরই তাদের এই বিষোদ্গার। তারা বলছেন, আমি কেন আগ বাড়িয়ে বিএনপির সাথে ঐক্য করার সুযোগ নেই বলেছি? বিএনপি তো আমাদের কোনো ঐক্যের প্রস্তাব দেয়নি। না, বিএনপি ঐক্যের কোনো প্রস্তাব দেয়নি, আমিও আগ বাড়িয়ে কিছু বলিনি।
আনু মুহাম্মদ আরো লিখেছেন, আমাদের সংবাদ সম্মেলন ছিল প্রধানত প্রধানমন্ত্রীর ভুল তথ্য ও জাতীয় কমিটি নিয়ে তার বিষোদ্গারের জবাব। প্রশ্নোত্তরে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের কারণে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্ন খুবই সঙ্গত ছিল যে, ‘আপনারা কি বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যাবেন?’ আমাকেও তখন আমাদের নীতিগত অবস্থান পরিষ্কার করতে হয়েছে। আমাদের নীতিমালাতেই আছে, যেসব দল ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয় স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন নীতি ও চুক্তি করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের ঐক্যবদ্ধ কাজ করা সম্ভব নয়। যে কারণে ২০০৬ সালে আমাদের আন্দোলনে সমর্থন দেয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের কোনো ঐক্যবদ্ধ কাজ করা সম্ভব হয়নি। সেকারণেই বিএনপির সাথেও তা সম্ভব হবে না। কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে, বিএনপি যদি রামপাল প্রকল্পবিরোধী আন্দোলন করে তাতে আমরা বেজার হবো।
তিনি লিখেছেন, তখনও বলেছি, এখনও বলি, আমরা সারাদেশের সকল পর্যায়ের মানুষকে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে শামিল হবার আহ্বান নিয়েই গত কয় বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সব সময়ই বলেছি, শুধু জাতীয় কমিটির ব্যানারে নয়, এর বাইরেও বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংগঠন নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় হোন। এখানে যত দল, সংগঠন ও মানুষ শামিল হয় তত ভালো। কাজেই আমরা তো বিএনপির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রবিরোধী এই অবস্থানকে স্বাগতই জানাচ্ছি। বিএনপি নেতৃবৃন্দ আমাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন সেজন্যও তাদের ধন্যবাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রকৃতপক্ষে হাতেগোনা কিছু লোক ছাড়া দেশের সকল পর্যায়ের মানুষই সুন্দরবনধ্বংসী এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে, সরকারি জোটের অধিকাংশ দল বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ মানুষ এর বিরুদ্ধে। সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমতকে সক্রিয় তৎপরতায় নিয়ে যাওয়াই জরুরি।
সকলের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি লিখেছেন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই সর্বব্যাপী প্রতিরোধ যত জোরদার হবে, তত দ্রুত এই প্রকল্প বাতিল হবে। যত দেরি হবে তত সুন্দরবনের ক্ষতি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থান ও উপায়ের বিকল্প আছে, সুন্দরবনের বিকল্প নেই, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে বিজয়ী হবারও কোনো বিকল্প নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।