Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে -মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে। কারণ যারা একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়া-মোস্তাক চক্র জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল বলেই ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। ’৭৫ সালের পরে তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধকালে তাদের ভূমিকাও ছিল বিতর্কিত। তাই জিয়া-মোস্তাক চক্রের বিচারসহ বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত নেপথ্য চক্রীদের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, সংসদ এলাকায় স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো কবর থাকবে না। জিয়ার কবরে জিয়ার কোনো লাশ আছে বলে প্রমাণ নেই। তাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে সংসদ এলাকা থেকে সকল কবর সরিয়ে ফেলার জন্য দু’দফায় পত্র দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদ- বহাল রাখার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সকল যুদ্ধাপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বৈশাখী ভাতাসহ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বিশেষ সম্মানী ভাতা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছেন। তিনি দেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি শেখ আহমদ হোসেন মির্জা সভাপতিত্ব করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও একাত্তরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুদ্


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ