পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট কুলাউড়ার মলাঙ্গি টিলা ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া সারাদেশের টিলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়েরকৃত রিটের শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)র পক্ষে জনস্বার্থে এ রিট করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, হাইকোর্ট রুল জারি করে দেশের সকল টিলা সঠিকভাবে সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং টিলা কর্তনকারীর বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারা অনুসারে কেন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না- জানতে চেয়েছেন।
কোনো এলাকায় টিলা কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি কর্মকর্তাকে দায়ী করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- জানতে চাওয়া হয়েছে। মৌলভিবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মলাঙ্গি টিলা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- জানতে চাওয়া হয়েছে। দেশের সকল টিলা রক্ষায় মনিটরিংয়ের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য কেবিনেট ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সার্কুলার জারির কেন নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মনজিল মোরসেদ আরো বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সবকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যাক্তিমালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা কর্তন কিংবা মোচন করা যাইবে না। এ আইনের ১৫ ধারা অনুসারে কেউ টিলা কাটলে ২ বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দ্বারা মালাঙ্গি টিলার একটি বড় অংশ কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। টিলার মাটি বিক্রি করা হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ী এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রশাসনের এরকম নির্লিপ্ততার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে টিলা কর্তন করা হচ্ছে এবং সংবিধানের আর্টিকেল ১৮এ অনুসারে প্রশাসন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয় থাকছে।
আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে মৌলভিবাজার, কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডি ইউনিয়নের মলাঙ্গি টিলা কর্তনের জন্য দায়ী সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশ আইনের বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, মৌলভি বাজার, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ১৩ জনকে বিবাদীকরা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।